রাতের অন্ধকারে সৌরবাতির ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। কেটে ফেলছে ধাতব খুঁটিও। ফলে সন্ধ্যা নামতেই আঁধারে ডুবে যাচ্ছে দুর্গাপুর শহরের নারায়ণপুর থেকে আমলাজোড়া পঞ্চায়েত এলাকায় যাওয়ার রাস্তাটি। এমনই অভিযোগ বাসিন্দাদের। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
শুধুমাত্র পুর এলাকায় রাস্তার ধারে বৈদ্যুতিক বাতি লাগানোর ব্যবস্থা থাকলেও শহর লাগোয়া আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের বিহারপুর, বাবনাবেড়া, মোবারকগঞ্জ, ধোবাঘাটা, আলসেপাড়া ও মানায় সেই ব্যবস্থা ছিল না। দীর্ঘ দিন ধরেই ওই রাস্তায় বৈদ্যুতিক আলো লাগানোর দাবি জানাচ্ছিলেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, আলোর অভাবে যাতায়াতের অসুবিধা তো রয়েছেই। তাছাড়া অন্ধকারে দুষ্কৃতীদের হামলার আশঙ্কাও থাকে। |
শেষ পর্যন্ত বাসিন্দাদের দাবি মেনে বছর তিনেক আগে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থা ওই রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা করে। পুর এলাকার মধ্যে না হওয়ায় বিদ্যুতের বিল মেটানো ও পরিবেশগত কারণে সৌরবাতি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুর্গাপুর শহরের নারায়ণপুর থেকে আমলাজোড়া পঞ্চায়েত এলাকায় যাওয়ার রাস্তায় মোট ১৮টি সৌরবাতি লাগানো হয়।
কয়েক মাস রাস্তায় পর থেকেই চুরি হতে থাকে সৌরবাতির ব্যাটারিগুলি। একে একে ১৬টি বাতির ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দা সন্ন্যাসী বাউরির দাবি, “গভীর রাতেই দুষ্কৃতীরা লুঠপাট চালাচ্ছে। তাই বাসিন্দারা জানতেও পারেননি।’’ বাসিন্দারা জানান, ব্যাটারিগুলি চুরি করার পরে দুষ্কৃতীরা বৈদ্যুতিক খুঁটিও কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে তাঁরা জানতে পেরে যাওয়ায় তা হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে দ্রুত ওই রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আমলাজোড়া পঞ্চায়েত সদস্য সুলেখা বাগদি জানান, আলোগুলি না জ্বলায় অসুবিধায় পড়ছেন বাসিন্দারা। সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। |