খুনের উদ্দেশেই হামলা হয় তাঁদের দুই নেতার উপরে। মেমারিতে দলের দুই নেতার প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় এমন অভিযোগই তুললেন সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য অভিজিৎ কোঙার।
রবিবার সন্ধ্যায় মেমারির রসুলপুরে ছানাপুকুর পাড়ে আক্রান্ত হন দুই সিপিএম নেতা স্বপন সেনগুপ্ত ও পরেশ চক্রবর্তী। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। স্বপনবাবুকে রবিবার রাতেই মেমারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। অভিজিৎবাবু অভিযোগ করেন, এলাকার মহিলারা না এগিয়ে এলে তাঁদের দুই নেতা হয়তো খুন হয়ে যেতেন। তাঁর আরও অভিযোগ, স্বপনবাবুকে মারধর করে প্রথমে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। পরেশবাবুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তৃণমূলের লোকজন ফিরে এসে স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া স্বপনবাবুকে ফের বেধড়ক মারধর করে। এই ঘটনায় ৮ জনের নামে মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান অভিজিৎবাবু। |
সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অমল হালদারের অভিযোগ, “তৃণমূলের আক্রমণ যে ভাবে বাড়ছে তাতে প্রতিটি এলাকার শান্তি বজায় রাখতে হলে মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। ওই দুই নেতা কৃষকসভার সদস্য সংগ্রহে গিয়েছিলেন। তার জন্যই তাঁদের উপরে এমন হামলা হয়েছে। হামলার সময়ে আক্রমণকারীরা দাবি করেছে, তৃণমূল ক্ষমতায় থাকার সময়ে সমস্ত রাজনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ করে রাখতে হবে।”
মেমারির তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তাঁদের কেউ জড়িত নন। মেমারি থানা সূত্রে বলা হয়েছে, ওই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সোমবার। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। |