একশো দিনের কাজ, পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজ ইত্যাদি নিয়ে দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে গলসির কুতরুকি গ্রামে। জখম পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও দু’জন এখনও হাসপাতাল ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তি জখম তৃণমূল কর্মী শ্রীরঞ্জন সাঁতরা ও আশিস সাঁতরার অভিযোগ, “সুকুমার বাগদি নামে সিপিএমের এক স্থানীয় নেতার সঙ্গে প্রায় ১৫-২০ জন লোক বাজারের কাছে আমাদের আক্রমণ করে। তাদের হাতে টাঙ্গি, লাঠি ইত্যাদি ছিল। বেধড়ক মারের চোটে আমরা জখম হই।” জখম দু’জনের দাবি, সিপিএমের দখলে থাকা উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁরা। তারই জেরে আক্রান্ত হতে হল তাঁদের। |
ওই দুই তৃণমূল কর্মীর আরও দাবি, কুতরুকি গ্রামে বুনো পুকুর সংস্কারের কাজ ভোটের আগে থেকেই বন্ধ রয়েছে। এই প্রকল্প বাবদ বরাদ্দ হওয়া চার লক্ষ টাকার কোনও হিসেব পঞ্চায়েত দিতে পারেনি। সোমবার গ্রামের ওই পুকুর সংস্কারের কাজের জন্য একটি সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেই বৈঠকের আগে, হিসেব না দেওয়ার জন্য ওই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন ওই পাঁচ তৃণমূল কর্মী। সে জন্যই তাঁদের হামলার মুখে পড়তে হল বলে অভিযোগ।
জেলার সিপিএম নেতা তথা বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সাইদুল হকের অবশ্য দাবি, “আমাদের দখলে থাকা পঞ্চায়েতের কাজে ভীষণ ভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে ওই এলাকায়। তাতেই গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে যাঁরা বাধা দিচ্ছিলেন, তাঁদের উপরে চড়াও হন বলে শুনেছি।” তবে উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রূপ শেখ বলেন, “একশো দিনের কাজ নিয়ে তৃণমূলের লোকেরা পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল। বুনো পুকুরের কাজও রাজনৈতিক মতান্তরের জন্য বন্ধ রয়েছে। দলের কর্মীদের আমি কোনও বিতর্কে যেতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা আমার কথা শোনেননি।”
পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় দু’পক্ষই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন গলসি থানায়। মোট অভিযুক্তের সংখ্যা দশ। তার মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |