দলে গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য সিপিএমকে দায়ী করল তৃণমূল। এমনকী পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলকে বদনাম করতে সিপিএম এ ব্যাপারে তৎপর হতে পারে আশঙ্কা করে কর্মীদের সতর্কও থাকার পরামর্শ দিয়েছেন নেতারা। রবিবার কোচবিহারের নিশিগঞ্জে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের উত্তরবঙ্গ সম্মেলন হয়। তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সমবায় মন্ত্রী হায়দার আজিজ সফি বলেন, “তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল হচ্ছে। সিপিএম আমাদের বদনাম করতে ওদের লোক ঢোকাচ্ছে। ওই ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। আমার মনে হচ্ছে ওদের পার্টি থেকে বলা হচ্ছে বলেও ওই সব লোকেরা ঢুকে পড়ছে। দলে ঢুকে যারা গোলমাল করছে তাদের তাড়িয়ে দেবেন।” রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি হায়দার আজিজ সফি, এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান তথা দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ-সহ নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন। এমনকী, বক্তারা পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ না-হওয়া পর্যন্ত সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে দোকানে বসে চা পান কিংবা বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষার ব্যাপারেও দলের কর্মী সমর্থকদের সতর্ক করে দেন। বক্তব্য রাখতে ওঠার আগে সমবায় মন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলতে গিয়েও বলেন, “সিপিএম কয়েক জায়গায় লোক ঢুকিয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকা উলুবেড়িয়াতেও হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সিপিএম ওই প্রবণতা আরও বাড়াতে পারে। আমরা কর্মীদের সতর্ক করে দিচ্ছি।” দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে বামেরা চক্রান্ত করবে। আর বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে।” তৃণমূল নেতাদের এহেন মন্তব্যকে ‘প্রলাপ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বামেরা। রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ই দলের প্রকৃত চেহারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এখন আমাদের দায়ী করে এই ধরনের মন্তব্য আসলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো ব্যাপার।” তবে তৃণমূল নেতাদের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন জেলার কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী। তিনি বলেন, “বহু আগে থেকেই আমরা এসব বলেছিলাম। এতদিনে সমবায় মন্ত্রী বক্তব্যে আমাদের কথাই মেনে নেওয়া হল।” তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি ইদ্রিশ আলি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, “সব কংগ্রেসি খারাপ নয়। তবে এক শ্রেণির কংগ্রেসি সিপিএমের দালালি করছে।” ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মোজ্জাফফর রহমান, বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন, বিধায়ক বিনয় বর্মন, অর্ঘ্য রায়প্রধান, আব্দুল জলিল আহমেদ-সহ অন্যান্যরা। |