মোবাইল চোর সন্দেহে এক মহিলার পেটে গরম রড ঢুকিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল সিপিএমের এক নেতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে মালদহের চাঁচল থানার গোবিন্দপাড়ার বাসিন্দা ওই মহিলার পেটে গরম লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। মৃতার নাম কাঞ্চন মালো (৪৫)। পুলিশ ওই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই সিপিএম নেতার দাদা সাকরাতু মালোকে গ্রেফতার করেছে। জেলার পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “গৃহবধূর পেটে গরম লোহার রড ঢুকিয়ে খুন করার অভিযোগে একজন গ্রেফতার হয়েছে। দু’জন অভিযুক্তকে ধরার জন্য তল্লাশি চলছে।” সিপিএমের চাঁচল জোনাল কমিটির সম্পাদক হামিদুর রহমান। তাঁর দাবি, “এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। দুই পরিবারের গোলমালে ঘটনাটি ঘটেছে।” ধৃত সাকরাতো মালোর মেয়ে তারা মালো বলেন, “শুনেছি আমার ভাই নাকি গরম লোহার রড ঢুকিয়ে একজনকে খুন করেছে। কেন খুন করেছে তা বলতে পারব না।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে ধৃত ব্যক্তির ছেলে শুভ মালের একটি দামী মোবাইল চুরি হয়। মোবাইল চুরির ঘটনার সন্দেহ গিয়ে পড়ে মৃতার স্বামী প্রতিবেশী তপন মালোর উপরে। এই নিয়ে প্রতিবেশী দুই পরিবারের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে গোলমাল চলছিল। তপন মালোর অভিযোগ, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে আমাকে শুভ মালো ও তাঁর পরিবার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ওই দিন রাতে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির বারান্দায় শুয়েছিলেন। রাত দেড়টা নাগাদ তিনি বাথরমে যান। সেখানে হঠাৎ স্ত্রীর আর্ত চিৎকার শুনে তিনি বাইরে বার হয়ে দেখেন কাঞ্চন দেবী পেটে একটি লোহার রড ধরে ছটফট করছে। তপনবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, লোহার রডটি হাত দিয়ে ধরে টানতে গিয়ে টের পান সেটি প্রচন্ড গরম। এরপর তিনি স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। স্ত্রীর পেটে গরম লোহার রড পেটে ঢোকানোর অভিযোগে সিপিএম নেতা বিজয় মালো, তাঁর দাদা সাকরাতু মালো এবং ভাইপো শুভ মালোর বিরুদ্ধে চাঁচল থানা অভিযোগ দায়ের করেন। |