আরএসপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সম্পাদক হলেন বিশ্বনাথ চৌধুরী। রবিবার কুশমন্ডিতে দলের পঞ্চম জেলা সম্মেলনের শেষে প্রাক্তন মন্ত্রী বিশ্বনাথবাবুর হাতে তুলে দেওয়া হল জেলার দায়িত্ব। ১৮ বছর জেলা সম্পাদক পদে থাকা প্রশান্ত মজুমদার বালুরঘাটের সাংসদ হওয়ার পরেই সম্পাদক পদে বদলের ভাবনা শুরু হয়েছিল। নেতৃত্বে নতুন মুখ তুলে আনার পক্ষেও দলে আলোচনা হয়। পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখেই নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার ঝুঁকি নেননি দলীয় নেতৃত্ব। এ দিন বিদায়ী সম্পাদক প্রশান্তবাবু বলেন, “দিল্লিতে ব্যস্ততার কারণে জেলায় সময় দিতে পারছিলাম না।” নব নির্বাচিত জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথবাবু বলেন, “নিজের জেলা ছাড়াও অন্য কয়েকটি জেলা আমায় দেখতে হয়। সামনের মাসে তপন ব্লকে দলের রাজ্য সম্মেলন। আলিপুরদুয়ারে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনকে ঘিরে জনসংযোগ ও প্রচার অভিযান কর্মসূচিকে এই মুহূর্তে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কুশমন্ডি ব্লকের কমিউনিটি হলে শনিবার শুরু হয় সম্মেলন। প্রতিবেদনে সিপিএমের নাম উল্লেখ না করলেও বলা হয়েছে, বামফ্রন্ট আদতে ছিল একদলীয়। একটা দল একক সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার চালিয়েছে। আমলাতান্ত্রিক মানসিকতা, সংকীর্ণ রাজনীতি, দম্ভ ও কৃষিনীতির ভুলেই তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। ৩৪ বছরের শেষ দিকে রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণ ছিল না। সিঙ্গুরে গুলি, নন্দীগ্রামে অত্যাচারের ঘটনা থেকে মানুষ বামেদের থেকে দূরে সরে যান। সেখান থেকেই মমতার উত্থান। পঞ্চায়েতে দুর্নীতি দেখেও ব্যবস্থা নিতে না পারায় বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে সমালোচনা করা হয়েছে। বিদায়ী আরএসপি সম্পাদক প্রশান্তবাব্যু দাবি করেন, “ন’মাসে নতুন সরকারের প্রতি মানুষের ভুল ভাঙতে শুরু করলেও এখনও মানুষ বামেদের দিকে আসেনি। মমতার দিকেই এখনও ব্যাপক মানুষের সমর্থন রয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের থেকে সরে যাওয়া গরিব মানুষকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে।” রাজ্যে আরএসপির একক শক্তি নেই বলে প্রতিবেদনে স্বীকার করে বামফ্রন্টে থেকেই ‘নিজস্ব লাইনে’ আরএসপি আন্দোলন করবে বলে পঞ্চম জেলা সম্মেলন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশান্তবাবুর মতে, “এর আগেও শিল্পায়নের প্রশ্নে কৃষিজমি ও কৃষকের পক্ষেই বামফ্রন্টে দলের স্পষ্ট মত জানিয়ে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। সংসদীয় ব্যবস্থায় সমাজতন্ত্র আনা সম্ভব নয়। তা ভেবেই নিজস্ব বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আন্দোলন সংগঠিত করার সিদ্ধান্ত জেলা সম্মেলন থেকে নেওয়া হয়েছে।” |