অন্ধকার নামতেই ট্রাক থামিয়ে জলপাই রংয়ের উর্দি পরা দুষ্কৃতীরা তোলা আদায় করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মালদহের কয়লা ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি মালদহের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে ওই অভিযোগ জানান তাঁরা। পুলিশ ও বিক্রয়কর কর্তাদের নাম করে বৈষ্ণব নগরের ১৭ মাইল ও কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তোলাবাজি হয়। জলপাই রংয়ের উর্দিপরা দুষ্কৃতীরা নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে তোলা আদায় করে। রাস্তার পাশে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করেছে দুষ্কৃতীরা। ব্যবসায়ীরা জানান, কয়লার গাড়ি বুঝতে পারলেই দুষ্কৃতীরা আলো জ্বালিয়ে ট্রাক থামাচ্ছে। গাড়ি পিছু ২০০০-৫০০০ টাকা নিয়ে সিনেমার টিকিটের একটি করে ছাড়পত্র দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। ওই টিকিট দেখালে পরের তোলাবাজদের হাত থেকে রেহাই মিলছে তাঁদের। এই ভাবেই প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ ট্রাক থেকে তোলা আদায় হচ্ছে বলে অভিযোগ। টাকা না দিলে চালকদের মারধর করা হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “কয়লা ব্যবসাযীদের বলা হয়েছে যেখানেই গাড়ি থামিয়ে তোলা আদায় হবে, নিকটবর্তী থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। পুলিশ ওই তোলাবাজদের গ্রেফতার করবে।” জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা বলেন, “কয়লা ব্যবসায়ীদের আভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” মালদহে শতাধিক কয়লা ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাঁরা জানান, দক্ষিণবঙ্গ থেকে নায্য বিক্রয় কর ও সরকারের রাজস্ব দিয়ে বৈধ ছাড়পত্র সহ উত্তরবঙ্গে কয়লা নিয়ে আনেন ওই ব্যবসায়ীরা। তার পরেও মালদহে কয়লা বোঝাই ট্রাক ঢোকার পরেই তোলাবাজদের হাতে পড়তে হয় তাঁদের। চার জায়গায় ওই তোলাবাজি হয়। বিশেষ করে বৈষ্ণবনগরের ১৭ মাইলের কাছে ও কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জের কাছে জাতীয় সড়কের উপর গাড়ি থামিয়ে পুলিশের পোশাক পড়ে দুষ্কৃতীরা তোলা আদায় করে কয়লা ব্যবসায়ীরা পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে লিখিত জানিয়েছেন, মালদহের ইংরেজবাজারের বিনয় সরকার রোডের বাসিন্দা অশোক ভকত এ সবে যুক্ত রয়েছেন। অশোকবাবু বলেন, “বাজে কথা। আমি কোনও রকম খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত নই। আমি ব্যবসা করি। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।” |