ঘটনা-১: সামসি রুটের অটো রিকশা চালক বাবা। তিনি অসুস্থ থাকায় স্ট্যান্ডে গাড়ি নিয়ে হাজির অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলে। যার লাইসেন্স নেই। সে দিব্যি ১০ থেকে ১৫ জন যাত্রী অটোতে তুলে দিনভর শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
ঘটনা-২: সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাস স্ট্যান্ডে অটোর ভিড়। অধিকাংশ ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে। যাত্রী তোলার জন্য সেখানে চলে হর্ন বাজানোর প্রতিযোগিতা। ওই সময় পাশে দাঁড়িয়ে বলা কথাও শোনা যায় না।
খণ্ডচিত্র দু’টি মালদহের চাঁচল শহরের। গত ৫ মাসে এ ভাবে পাল্টেছে মহকুমা সদর। যানজট ও দুর্ঘটনা শহরে রুটিন ঘটনা। একই সঙ্গে বেড়ে চলেছে দূষণের সমস্যাও। কিন্তু পুলিশ ও প্রাশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বাসিন্দারা জানান, এত দিন তাঁদের যন্ত্র চালিত ভ্যানের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ওই সমস্যা না মিটতে অটোর দাপাদাপি শুরু হয়েছে। চাঁচলের এসডিপিও সন্দীপ মন্ডল বলেন, “কয়েক মাসে প্রচুর অটো রাস্তায় নেমেছে। শহরে জায়গা না থাকায় স্ট্যান্ড নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। সর্বদলীয় বৈঠক করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।” চাঁচলের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক অশোক সরকার বলেন, “যানজট বেড়েছে। শুধুমাত্র পুলিশ ও প্রশাসন দিয়ে ওই সমস্যা মিটবে না। প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে।” ৫ মাসে শহরে অটো রিকশার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড়শো। নিয়মের তোয়াক্কা না করে এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রথমে ফুটপাত দখল হয়েছে। স্কুল ও কলেজগামী রাস্তার পাশাপাশি বাজার, বেসরকারি বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার রাস্তা অটো রিকশার দখলে চলে গিয়েছে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের স্কুল কলেজে পৌছতে হয়। শহর সংলগ্ন এলাকাতেও একই ছবি। প্রতিটি রাস্তায় অটো রিকশার দাপাদাপি। ১০ থেকে ১৫ জন যাত্রী তুলে চালক ছুটে চলেন। প্রতিবাদ করে লাভ হয় না। উল্টে নামিয়ে দেওয়া হয়। দুর্ভোগ চরমে উঠলেও কেউ মুখ খোলে না। বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হলেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। চাঁচল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রাণগোপাল পোদ্দার বলেন, “একে যন্ত্রচালিত ভ্যানের দাপটে যানজটে জেরবার দশা। যে ভাবে অটো বেড়ে বাড়ছে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।” |