দলের ব্লক সম্মেলনে জেলা সভাপতির সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল কর্মীরা। রবিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের পাতলাখাওয়ায়। এলাকার বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে কেন ব্লক সম্মলনের খবর দেওয়া হয়নি জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর কাছে এই ব্যাপারে কিছু তৃণমূল কর্মী জানতে চাইলে হাতাহাতি শুরু হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনার সময়ে আমি মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলাম। তখন কিছু কর্মী জেলা সভাপতির গাড়িতে চড়াও হন বলে শুনেছি। দলে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতাদের জানাব।” জেলা সভাপতি অবশ্য হাতাহাতির ঘটনাটি এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, “কিছু স্থানীয় নেতা আমায় প্রশ্ন করছিলেন কেন সবাইকে এই সম্মেলনের কথা জানানো হয়নি। সব প্রশ্নের উত্তর দেবার দায়িত্ব সভাপতির নয়। কিছু লোক নিজেদের তৃণমূল নেতা বলে দাবী করলেও দলের কোনও কাজ করেন না। তবে এদিন হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সংগঠন সাজাতে উত্তরবঙ্গ জুড়েই কর্মী সম্মেলন চলছে। এদিনের সম্মেলনে বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন, জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোর্তিময় কর, রাজ্যর সহ সভাপতি জহর মজুমদার, জেলার কার্যকরী সভাপতি মৃদুল গোস্বামী-সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্মেলনের পরে সাড়ে চারটে নাগাদ জেলা সভাপতি গাড়িতে উঠতে গেলে আলিপুরদুয়ার জংশনের তৃনমূল নেতা তপেন কর জানতে চান, কেন এদিনের সভায় বিবেকানন্দ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মুক্তা সরকারকে জানানো হয়নি। সেই সময় জেলা সভাপতির অনুগামীরা তপনবাবুর উপর ঝাপিয়ে পড়েন। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ।
রাজ্যর সহ সভাপতি জহর মজুমদার এবং জেলার কার্যকরী সভাপতি মৃদুল গোস্বামীরা জানান, জেলা সভাপতির কাছে দলের আলিপুরদুয়ারের কর্মীরা নিজেদের অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। তাঁরা বলেন, “সভাপতি হিসেবে উনি কর্মীদের কথা শুনতে চাননি। বরং বাজে ব্যবহার করেছেন। তাঁর লোকজন কর্মীদের উপর চড়াও হয়। হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।” সভাপতি হিসেবে কর্মীদের বক্তব্য শোনার ধৈয্য না থাকলে তার জেলা সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে জহরবাবু এবং মৃদুলবাবু মন্তব্য করেন। |