পানীয় জল, শিশুখাদ্যের দাবি ন্যাজাটের দুর্গতদের |
পানীয় জল এবং শিশুখাদ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন সন্দেশখালির ন্যাজাট-১ পঞ্চায়েতের নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত পাঁচটি গ্রামের দুর্গত মানুষেরা। গত শুক্রবার ভরা কোটালের জলের ধাক্কায় বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ ভেঙে ওই পঞ্চায়েতের ধ্বজিকাটি, মধ্য বাউনিয়া, সিংহপাড়া, বাঁশবেড়িয়া এবং বাউনিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় উঁচু জায়গায় সরে যেতে হয় বহু বাসিন্দাকে। রবিবার দুর্গত এলাকায় যান মহকুমাশাসক শ্যামলকুমার মণ্ডল এবং সন্দেশখালির বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। দু’জনের কাছেই দুর্গতেরা খাবার, পানীয় জলের দাবি জানান। শিশু খাদ্য এবং গবাদি পশুর খাবার মিলছে না বলেও তাঁরা অভিযোগ তুলেছেন। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ ভাবে ৫৫টি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১৫টি বাড়ি। দু’হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এখনও পর্যন্ত ৫০০ পলিথিন এবং আড়াই কুইন্টাল চিড়ে ও গুড় দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও ত্রাণ পাঠানো হবে। মহকুমাশাসক বলেন, “ইতিমধ্যে সেচ দফতরের পক্ষ থেকে বাঁধ মেরামতির জন্য বাঁশ, বস্তা ফেলা হয়েছে। জল কমলেই দু’এক দিনের মধ্যে বাঁধের কাজ পুরোদমে শুরু করা যাবে।” বিধায়ক বলেন, “প্লাবিত এলাকার মানুষেরা আমার কাছে খাবার এবং পানীয় জলের জন্য আবেদন করেছেন। বিডিওকে দুর্গতদের জন্য খাবার, শিশুখাদ্য সরবরাহের জন্য বলেছি। দ্রুত যাতে বাঁধ মেরামতি করা যায় তার জন্যও বলা হয়েছে।”
|
একটি বাড়ির মন্দিরের গেট ও দরজার তালা ভেঙে ঢুকে দু’টি প্রাচীন মূর্তি এবং লক্ষাধিক টাকার অলঙ্কার ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে বাদুড়িয়ার রুদ্রপুরের হাটখোলার ঘটনা। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও রবিবার রাত পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার বা খোয়া যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রুদ্রপুরের হাটখোলার কাছে বাড়ি কালীনাথ চৌধুরীর। তাঁদের বাড়ির মন্দিরে দুর্গা-সহ বিভিন্ন দেবদেবীর পুজো হয়। এ রবিবার ভোরে মন্দিরের গেট খুলতে গিয়ে চুরির বিষয়টি সকলের নজরে আসে। প্রসঙ্গত, গত এক বছরে বাদুড়িয়ার বেশ কয়েকটি মন্দিরে চুরি হয়েছে। পুলিশের ‘ভূমিকা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে কয়েকটি ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই অপরাধীদের ধরা যাবে।
|
গোসাবা ব্লকের গোসাবা রুরাল এনার্জি ডেভলপমেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের (গ্যাসিফায়ার) পরিচালন সমিতির ভোটে রবিবার ৫৩টি আসনের মধ্যে বামপন্থী প্রগতিশীল জোট ২৮টি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে। তৃণমূল-এসইউসি জোট পেয়েছে ২৫টি আসন। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এটি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত। বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তারা গোসাবায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। ওয়েবরেডার নামে একটি সংস্থা সোসাইটিকে ভর্তুকিও দেয়। বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি সোসাইটি সমবায় সমিতির মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন কাজ করে। দীর্ঘদিন এই বোর্ড বামেদের দখলে থাকলেও ২০১১ বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূলের আন্দোলনের চাপে তৎকালীন বোর্ডের সদস্যরা ইস্তফা দেন। সে সময় তৃণমূলের তরফে তৎকালীন বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও আনা হয়। তারপরেই রবিবার পরিচালন সমিতির নির্বাচন হয়।
|
রক্তাক্ত অবস্থায় এক ভ্যানচালকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে বাংলার মোড়ের কাছে হায়দার শেখ (৪০) নামে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। দেহে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। |