|
|
|
|
তৃণমূল কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু,
সিপিএম প্রধানের ছেলে গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল কর্মী শ্রীদাম নস্করের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সেখানকার দুর্গামণ্ডপ পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধানের ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম বাপ্পাদিত্য মণ্ডল। শনিবার দুপুরে সন্দেশখালির দুর্গামণ্ডপের দায়ুদপুর গ্রামে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার বসিরহাট আদালত তোলা হলে বিচারক তাঁকে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার দোলের রাতে কয়েক জন বন্ধুকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছিলেন বাপ্পাদিত্য। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে শ্রীদামও ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে খাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রীদাম। বন্ধুরা তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযোগ, ভোরে জেলিয়াখালির পূর্বখণ্ড গ্রামে শ্রীদামের বাড়িতে দেহটি ফেলে রেখে পালান বন্ধুরা। মৃতের বাবা অনিল নস্কর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন বাপ্পাদিত্য-সহ আট জনের বিরুদ্ধে। অনিলবাবুর অভিযোগ, খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে শ্রীদামকে খুন করা হয়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই বাপ্পাদিত্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, অপর অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ জানায়, বাপ্পাদিত্য দুর্গামণ্ডপ পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডলের ছেলে। বাপ্পাদিত্য জেলিয়াখালি পঞ্চায়েতে বাস্তুকারের কাজ করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, কয়েক মাস আগে জমি বিক্রি করে কয়েক লক্ষ টাকা পান শ্রীদাম। তা থেকে বেশ কিছু টাকা বাপ্পাদিত্যের কথা অনুযায়ী কয়েকজন বন্ধুকে ধার দিয়েছিলেন। সম্প্রতি টাকা ফেরৎ চাইলে ওই বন্ধুদের সঙ্গে শ্রীদামের বচসা হয়। গ্রামবাসীরাও সেই ঝগড়ার কথা জানতেন। ওই ঘটনার পরেই সেই বন্ধুদের সঙ্গে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে শ্রীদামের মৃত্যু হওয়ায় গ্রামবাসীরাও নানা প্রশ্ন তুলছেন। তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানান, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই গোটা বিষয়টি পরিস্কার হবে।
শনিবার সকালে পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের লোকজন। মিছিল বের করা হয়। পঞ্চায়েত প্রধানকেও গ্রেফতারের দাবি জানায় মিছিলকারীরা। তৃণমূলের সন্দেশখালি ব্লক সভাপতি লক্ষ্মণ অধিকারী বলেন, “টাকা আত্মসাতের জন্য পরিকল্পনা করে শ্রীদামকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক পুলিশ-প্রশাসন।” সিপিএমের স্থানীয় লোকাল কমিটির সম্পাদক আবুবক্কর লস্কর বলেন, “নীতিগত ভাবে আমরা বেআইনি বা অবৈধ কোনও কাজ সমর্থন করি না। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। কেউ দোষী হলে, আমরা চাই তার শাস্তি হোক।” |
|
|
|
|
|