|
|
|
|
সিপিএম নেতা-কর্মীর বিয়েতে
সমর্থকদের যেতে বারণ মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
বিরোধী ভূমিকায় থাকাকালীন রাজ্যের সরকারি কোনও অনুষ্ঠানে বা সিপিএমের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে এক মঞ্চে থাকতেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নীতি মেনে চলতে হত তাঁর দলকেও। রাজ্যে শাসন ক্ষমতা পাওয়ার পরে সেই নীতি বলবৎ হচ্ছে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের জন্যেও।
শনিবারই দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে দলীয় সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, “সিপিএমের কোনও নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলবেন না। ওঁদের পাশে বসবেন না। তা হলে দুর্বলতা আসতে পারে।” রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন ব্লক সম্মেলনে গিয়েও ফের ওই ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। শুধু তাই নয়, গাইঘাটার একটি সম্মেলনে দলের জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয়বাবু এ-ও বলেছেন, “বিয়ের মতো ওদের (সিপিএমের) কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে যাবেন না। ব্যক্তিগত সম্পর্কও রাখবেন না। তা হলে রাজনৈতিক ভাবে সিপিএমের মোকাবিলা করা যাবে না।”
জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনের পরে সিপিএমের বহু নেতা-কর্মী দলের ‘ঘনিষ্ঠ’ হওয়ার চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে দলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই ক্ষোভ যাতে আর না বাড়ে সেই কারণেই ওই ‘নির্দেশ’ বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ।
এ দিন জেলায় ১০টি ব্লকে তৃণমূলের সম্মেলন হয়। বিভিন্ন সম্মেলনে জ্যোতিপ্রিয়বাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি নির্মল ঘোষ, বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, বনগাঁর সাংসদ গোবিন্দচন্দ্র নস্কর, মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস, মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর প্রমুখ। গাইঘাটার সম্মেলনে জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোটে একক ভাবে জেলা পরিষদ দখল করা। আজ থেকে বুথ-স্তরে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু হল। এ ক্ষেত্রে ব্লক বা জেলা কমিটি সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে না।’’
প্রসঙ্গত, জেলার ২০০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে বেশির ভাগ তৃণমূলের দখলে থাকলেও জেলা পরিষদ বামেদের দখলে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কি না, তা নেতৃত্ব ঠিক করবে। আমরা এখন জেলাতে নিজের পায়ে দাঁড়াব। কারণ, কংগ্রেস মাঝেমধ্যেই ঝটকা মারছে।” |
|
|
|
|
|