একজন বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক। অন্যজন বিধায়ক। প্রথম জন মেদিনীপুর শহরকে যানজটমুক্ত করতে নেমেছিলেন আগে, যাতে যেখানে-সেখানে বাস দাঁড়িয়ে যানজট না করতে পারে। এ বার রাস্তায় নামলেন অন্যজন। অফিস, ব্যাঙ্ক, দোকানের সামনে গাড়ি, মোটর সাইকেল রাখার কারণে যাতে যানজট না হয় সেদিকটা দেখছেন তিনি। প্রথম জন মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি। আর দ্বিতীয় জন হলেন তাঁরই দাদা মৃগেন মাইতি। যিনি একাধারে মেদিনীপুরের বিধায়ক, আবার মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানও। |
মেদিনীপুর শহরে যানজটের জন্য নিত্য ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। বড় রাস্তাগুলিতে বাস-লরি দাঁড়িয়ে থাকার কারণেই যত সমস্যা। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সরকারি কাজে ছাড়া কোনও লরি শহরে ঢুকতে পারবে না বলে প্রশাসনের নির্দেশ রয়েছে। আর বাস নিয়ে দুর্ভোগ দূর করতে সম্প্রতি পথে নামে খোদ বাস মালিক সংগঠন। কিন্তু রাস্তার ধারে সাইকেল, মোটর সাইকেল, রিকশা বা চার চাকার যান দাঁড়িয়ে থাকা কারণেও যানজট হয়। সেই সমস্যা দূর করতেই শনিবার থেকে অভিযানে নেমেছেন বিধায়ক তথা পর্ষদ চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “বিভিন্ন অফিস-দোকানের সামনে গাড়ির জটলা শহরের গতি রুদ্ধ করে দিচ্ছে। যানজট রুখতে তাই প্রতিটি সংস্থার কাছেই প্রথমে আবেদন জানাব। তারপরেও কাজ না হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। শহরের রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে যানজট না হতে পারে।”
যত দিন যাচ্ছে শহরে মানুষের চাপ বাড়ছে। দ্রুত গতিতে বাড়ছে গাড়ির সংখ্যাও। এখন থেকেই পদক্ষেপ না করলে ভবিষ্যতে শহরে যে যানজটের ফাঁসে আটকে দমবন্ধ অবস্থা তৈরি হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পরিস্থিতিতে শহরে পার্কিং জোন তৈরির ব্যাপারে পুরসভা ও পর্ষদ উদ্যোগী হচ্ছে না কেন? মৃগেনবাবু বলেন, “এটা ঠিক যে পাকির্ং জোন জরুরি। পার্কিং জোন তৈরির ব্যাপারে উদ্যোগী হব।” সেই উদ্যোগ কতটা সফল হবে তা সময়ই বলবে। আপাতত, দু’ভাইয়ের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন শহরবাসী। |