সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার নারায়ণগড় থানা এলাকার মনিনাথপুর গ্রামে তৃণমূলের লোকেরা হামলা চালিয়ে ৬ জন সিপিএম কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পরে লুঠপাট করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, শনিবার সন্ধ্যায় দলীয় কর্মী নবীন সর্দারকে মারধর করে সিপিএমের লোকেরা। রবিবার সকালেও তারা হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তখনই ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিরোধে নামেন স্থানীয় মানুষ। |
সিপিএমের বেলদা জোনাল কমিটির সম্পাদক ভাস্কর দত্ত বলেন, “সন্ত্রাসের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই গ্রাম ছাড়া ছিলেন আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকেরা। কয়েক দিন হল গ্রামে ঢুকেছেন তাঁরা। তারপরই পরিকল্পনা করে সন্ত্রাস ছড়াতে হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের লোকেরা।” দলেরর কোঁতাইগড় লোকাল কমিটির সদস্য অলোক চৌধুরীরও বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট করা হয়েছে বলে সিপিএমের অভিযোগ। আর তৃণমূল নেতা সূর্য অট্টের অভিযোগ, “কঙ্কাল-কাণ্ডেও অলোক চৌধুরীর নামে অভিযোগ রয়েছে। এত দিন ভয়ে পলাতক ছিলেন। গ্রামে ফিরেই আগের মতো সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করে। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় মানুষই প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই।” উভয়পক্ষই থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহলও রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি ছাড়া সিপিএম নেতারা গ্রামে ফেরার পর দলীয় পতাকা টাঙিয়েছিলেন। তাতেই আপত্তি জানায় তৃণমূল। গ্রামে তৃণমূলের ছাড়া আর কোনও দলের পতাকা থাকবে না বলেও ফতোয়া জারি করা হয়। যদিও সেই ফতোয়া মানেননি সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিলই। রবিবার সকালে তারই বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। |