প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি |
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে তদন্ত দাবি করল আরামবাগের পুরা হাইস্কুলের পরিচালন সমিতি। এ ব্যাপারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আরামবাগ বিভাগের অতিরিক্ত জেলা পরিদর্শক আশিসবরণ সামন্তকে জানানো হয়। মহকুমাশাসক এবং বিডিওকেও গোটা ঘটনা জানায় পরিচালন সমিতি। গত বুধবার পরিচালন সমিতির লোকজন প্রধান শিক্ষক আনন্দমোহন কুণ্ডুর দু’টি ঘরের একটি তালাবন্ধ করে দেন। সমস্ত আলমারি ও ঘরের চাবি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে নিয়ে নেন। পরিচালন সমিতির সম্পাদক, তৃণমূল নেতা শেখ সোহরাব হোসেনের অভিযোগ, মিড ডে মিলের হিসেবে গরমিল ধরা পড়েছে। গরমিল রয়েছে শিক্ষকদের হাজিরা খাতায়। সরস্বতী পুজোর টাকার হিসেব নেই। ছাত্রছাত্রীদের নতুন বই কেনার টাকা না দিয়ে পুরনো বই দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক সহ-শিক্ষকদের একাংশের প্রতি ‘মানসিক নির্যাতন’ চালান বলেও অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, “আপাতত কিছু বলার নেই। বিষয়টির তদন্ত হচ্ছে।” আশিসবরণবাবু বলেন, “সমস্ত নথিপত্র-সহ স্কুলের দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হবে।”
|
জাতীয় গ্রামীণ কর্ম সুনিশ্চিত প্রকল্পে মাটি কাটার কাজ চলার সময় বোমা ফেটে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির জিরাটে। কেউ হতাহত হননি। ঘটনাটি ঘটে রবিবার সকালে জিরাট পঞ্চায়েতের কোবুরা-পাঁচপাড়া গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েকদিন ধরে গ্রামে একটি পুকুর সংস্কারের কাজ চলছে। এ দিন শ্রমিকরা মাটি কাটার সময় বোমা ফাটে। পঞ্চায়েত প্রধান অশোক পোদ্দার বলেন, “জিরাটে কর্ম সুনিশ্চিত প্রকল্পে কাজের জোয়ার চলছে। তাই, অশান্তি ছড়াতে সিপিএমের লোকজন এই ঘৃণ্য কাজ করেছে।” সিপিএম অবশ্য অভিযোগ মানেনি। বলাগড় ব্লকের এক সিপিএম নেতা বলেন, “এই ধরনের অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই।” জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, কেউ নিছক মজা করার জন্য বোমাটি ফাটিয়েছে, না কি এর পিছনে কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
|
জমি দখল নিয়ে বোমাবাজি, জখম ৫ |
জমি দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজিতে জখম হলেন ৫ জন। ভাঙচুর করা হল বাড়ি। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে হাোড়ার উলুবেড়িয়ার বাণীবনের উত্তর পীরপুর এলাকায়। আহত পাঁচজনকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা শেখ বরজাহানের একটি জমি দখল করে রেখেছিলেন শেখ সাহাজমল। এ নিয়ে মামলা চলছিল। এ দিন আদালতের রায়ে শেখ বরজাহান আমিন নিয়ে জমি মাপতে গেলে শেখ সাহাজমল ও তার তিন ছেলে তাঁদের উপরে চড়াও হয় ও বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। বোমায় জখম হন পাঁচ জন। এর পরেই উত্তেজিত গ্রামবাসীরা শেখ সাহাজমল-এর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অবস্থা সামাল দেয়।
|
বালি পুরসভার সামনেই জি টি রোডে কাজ করতে গিয়ে মই থেকে পড়ে সিইএসসি-র এক ঠিকাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম আনসার জমাদার (৪৫)। রবিবার দুপুরে ওই এলাকায় সিইএসসি-র কাজ চলছিল। আনসার কোমরে সেফটি বেল্ট বেঁধে মই বেয়ে উঠতে গিয়ে কোনও ভাবে পড়ে যান। নীচে দাঁড়িয়ে ছিলেন রঘু পাসোয়ান নামে অন্য এক কর্মী। আনসার তাঁর উপরে এসে পড়েন। রঘু হাসপাতালে ভর্তি আছেন। |