স্থান: আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড এবং সাহিত্য পরিষদ স্ট্রিটের মোড়। সময়: রবিবার বেলা ২টো। ওই মোড় এবং তার আশেপাশে গিজগিজ করছে পুলিশ। রয়েছেন পদস্থ অফিসারেরাও। রাস্তার পাশে জটলা। ওই জটলা যাতে রাস্তায় নেমে আসতে না-পারে, সে-দিকেই নজর পুলিশের। বিকেলের দিকে বারমুডা পরা কয়েক জন যুবককে রাস্তায় দেখামাত্র তেড়ে গেল পুলিশ।
কী ব্যাপার? পুলিশ বলছে, রবিবার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। সেই কারণেই তাদের এই ‘সাজো সাজো’ রব। যা এ দিন পথচলতি মানুষের কিছুটা হলেও চোখে লেগেছে। পরিষদের প্রবীণ সদস্যেরাও বলছেন, বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে এমন পুলিশি ব্যবস্থার নজির তাঁরা আগে দেখেননি। কিন্তু এ দিন তা হলে সেই ‘বেনজির’ ব্যবস্থা করা হল কেন? |
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের বাইরে পুলিশি প্রহরা। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
পুলিশি সূত্রের খবর, কয়েক দিন ধরেই সাহিত্য পরিষদের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এবং বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। শনিবার রাতেও বিবাদ মেটাতে হয় পুলিশকে। সেই কারণেই এ দিনের সভা উপলক্ষে এত পুলিশি আয়োজন রাখতে হয়েছিল। এক পুলিশ অফিসার বলেন, “খবর এসেছিল, রাস্তায় গোলমাল হতে পারে। এমনকী রাস্তা অবরোধেরও পরিকল্পনা ছিল একটি গোষ্ঠীর।”
পরিষদের কর্তারা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, বৈধ সদস্যপদ না-থাকলে কাউকে এ দিন সভায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। সেই অনুযায়ী বেশ কয়েক জনকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে উত্তেজনাও ছড়ায়। তবে সেই উত্তেজনার ফলে আইনশৃঙ্খলার কোনও সমস্যা হয়নি।
সভায় শেষ পর্যন্ত কী হল?
সাহিত্য পরিষদের এক সদস্য জানান, এ দিন বার্ষিক সাধারণ সভাতেও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে দু’পক্ষের মধ্যে। বিরোধী পক্ষ অনাস্থা-প্রস্তাব এনেছিল। তবে ধ্বনিভোটে জিতে যায় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীই। |