এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। রবিবার, পর্ণশ্রীতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুমন চট্টোপাধ্যায় (১৮)। পুলিশ সূত্রে খবর, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সুমন তার বাবার সঙ্গে থাকত। তার মা মারা গিয়েছেন। এ দিন সকালে সুমনের টিউশনে যাওয়ার কথা ছিল। বাবা শঙ্করবাবুও বাড়িতে ছিলেন না। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, দোতলার সিঁড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ডেকেও ছেলের সাড়া না পেয়ে পাড়ার লোক ডাকেন শঙ্করবাবু। দরজা ভেঙে উপরে গিয়ে তাঁরা দেখেন, পড়ার ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে দড়ির ফাঁসে ঝুলছে সুমন। পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুমনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা। তবে, সুইসাইড নোট মেলেনি। অন্য দিকে, শনিবার রাতে হাওড়ার এমসি ঘোষ লেনে একটি বাড়ি থেকে এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ মেলে। মৃতার নাম অঞ্জলি শর্মা (১৬)। পুলিশ জানায়, রাত ১১টা নাগাদ অঞ্জলিকে তার বাড়ির লোকেরা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা। |
সোনার দোকানে ডাকাতি করে টাকা-গয়না লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার ভোরে, পূর্ব যাদবপুর থানার নিউ গড়িয়া মার্কেটে। দোকান-মালিক অমিত রায় জানান, ডাকাতেরা দোকানের পাহারাদারকে মারধর করে, হাত-পা বেঁধে দোকান লাগোয়া একটি এটিএমে ঢুকিয়ে দেয়। তার পরে শাটার ভেঙে লুঠ করে। অমিতবাবু জানান, এ দিন সকালে দোকান খুলতে এসে তিনি দেখেন, শাটার ভাঙা। ভিতরের জিনিস তছনছ। পরে এটিএম থেকে পাহারাদারকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, পাহারাদার জেরায় জানায়, চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতীর একটি দল তাঁকে মেরে হাত-পা বেঁধে এটিএমে ঢুকিয়ে দেয়। সিসিটিভি-তে দুষ্কৃতীদের ছবি উঠেছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। |
একবালপুরে গুলিচালনার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে ময়ূরভঞ্জ রোড থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ডিসি (বন্দর) মেহবুব রহমান রবিবার বলেন, “এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, মৃত আনওয়ারুল হক ওরফে লালের গোষ্ঠীর সঙ্গে অভিযুক্ত ফিরোজ আলম ওরফে কানা সঞ্জয়ের গোষ্ঠীর দীর্ঘ দিন ধরে গোলমাল চলছে। ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডে বেআইনি নির্মাণের দখলকে কেন্দ্র করেই এই গোলমাল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর জেরেই লালকে খুন হতে হয় বলে অনুমান পুলিশের। |