ন্যানোর জন্য জেনিভায় গিয়েছিলাম স্ট্রেচারে: টাটা
ন্তানের জন্য কতই না কষ্ট সহ্য করতে হয়! আর ঠিক তেমনটাই করেছেন তিনি, ২০০৮-এ জেনিভার গাড়ি প্রদর্শনীর মঞ্চ থেকে ন্যানো-কে বিশ্বের দরবারে অভিষিক্ত করার সময়। পিঠে অসম্ভব যন্ত্রণা নিয়ে সে বার প্রদর্শনীতে গিয়েছিলেন স্ট্রেচারে শুয়েই। সর্বক্ষণ ডাক্তার ও নার্স রাখতে হয়েছিল সঙ্গে। যন্ত্রণা তাঁকে অসাড় করে দিয়েছে প্রতি মুহূর্তে। কিন্তু তবু কোটি কোটি উদ্গ্রীব চোখের সামনে ন্যানোর উপর থেকে পর্দা ওঠার মাহেন্দ্রক্ষণে জন্মদাতার আবেগেই সেটিকে ছুঁয়ে থেকেছেন তিনি। কাউকে টের পেতে দেননি শারীরিক কষ্টের কথা। এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চার বছর আগেকার স্মৃতি হাতড়ে এমনই এক অজানা তথ্য তুলে আনলেন টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার রতন টাটা।
আলাপচারিতায় ন্যানো সম্পর্কে এই ৭৪ বছরের শিল্পপতির তীব্র আবেগই বার বার ফুটে ওঠে, যখন তিনি বলেন, “আমার সন্তান তো! তাই স্ট্রেচারে শুয়েই গিয়েছি জেনিভায়। মঞ্চে ওঠার আগে ডাক্তার যন্ত্রণা কমানোর ইঞ্জেকশন দিয়েছেন। এমনই অবস্থা যে, আবরণ উন্মোচনের সময়ে ন্যানোর গায়ে হাত দিয়েও অনুভব করতে পারছিলাম না কিছু, এতটাই অসাড় তখন আমি। বক্তৃতা দিয়েছি, ছবি তুলেছি, সাংবাদিক বৈঠক করেছি, আবার স্ট্রেচারে গিয়ে শুয়েছি। সেটাতে করেই মুম্বই ফিরেছি।” জেনিভা তাঁর পিঠের ব্যথার অনেকটাই ক্ষতি করে দিয়েছে জানালেও সেখানে ন্যানোর উষ্ণ অভ্যর্থনার স্মৃতিতে এখনও অভিভূত তিনি। টাটা কর্তার দাবি, একমাত্র ভারত ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও সমালোচিত হয়নি ন্যানো। সকলে সাদরে গ্রহণ করেছেন ন্যানোকে।
আগামী দিনে ডিজেল ও বৈদ্যুতিন সংস্করণ-সহ আরও উন্নত ইঞ্জিনের পেট্রোল চালিত ন্যানো আনতে চান বলে জেনিভায় চলতি বছরের গাড়ি প্রদর্শনীতেই জানিয়েছেন রতন টাটা। ইতিমধ্যেই তরুণ ক্রেতার বাজার ধরতে গাড়িটির বেশ কিছু নতুন রঙের মডেল আনা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.