অসম-সহ সারা দেশেই চায়ের উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু বিপরীত চিত্র বরাকের চা বাগানে। বরাক উপত্যকায় পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় চায়ের উৎপাদন সাড়ে তিরিশ লক্ষ কিলোগ্রাম কমেছে। চা উৎপাদকদের বক্তব্য, এ অঞ্চলের বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থাই এর কারণ। টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া-র বরাক ভ্যালি শাখার ৪১-তম বার্ষিক সাধারণ সভায় উঠে আসে এই প্রসঙ্গই। বলা হয়, এক দিকে বরাকের সড়কগুলির অবস্থা শোচনীয়,ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর কবে শেষ হবে কেউ জানে না। অন্য দিকে আজও বাস্তবায়িত হয়নি লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ প্রকল্প। এ সবের জন্যই বেড়ে যায় পরিবহণ ব্যয়। মার খায় বরাকের চা। অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজয় ঢনঢনিয়া বলেন, উৎপাদন বাড়ানো এবং চায়ের দাম সঠিক ভাবে আদায় করা না গেলে চা শিল্প নতুন করে রুগ্ণ হয়ে পড়বে। সব শুনে সভার উদ্বোধক রাজ্যপাল জানকীবল্লভ পট্টনায়ক বরাকের চা উৎপাদকদের বাংলাদেশের চায়ের বাজার ধরতে পরামর্শ দেন। তিনি চা উৎপাদকদের সমস্যার কথা জেনে সরকারি অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁর আক্ষেপ, পরিকাঠামোর অবহেলা, আধুনিকীকরণের অভাব, পরিচালনায় ত্রুটি এবং প্রয়োজনীয় গবেষণার অভাবে এখানে চা শিল্প মার খাচ্ছে। টানা অবহেলার দরুন ত্রিশ শতাংশ চা গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপাল বলেন, চা শিল্প থেকে বছরে আয় হয় প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা আসে বিদেশি মুদ্রায়। এ ক্ষেত্রে অসমের অবদান কম নয়। ভারতে যে চা উৎপাদন হয়, তার ৫০ শতাংশই অসমের। আর এর মধ্যে রয়েছে বরাক উপত্যকার হিসেবও। তাই এখানকার সমস্যাগুলির সমাধানে গুরুত্ব দিতে তিনি স্থানীয় সরকারি কর্তাদের পরামর্শ দেন। |