বার্ধক্য ভাতা মিলবে এই আশায় পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন পাঁচ আদিবাসী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভাতা পাচ্ছেন না সাঁইথিয়া ব্লকের দেড়িয়াপুর গ্রামের রানি মুর্মু, দুলি কিস্কু, দাদিনা বেসরা, যুগল কিস্কু ও রবি সোরেনরা। তাঁদের ক্ষোভ, “অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বিডিও-র নির্দেশে বছর দেড়েক আগে স্থানীয় পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খুলি। এক বার ভাতা পাই। তার পরে আজ পর্যন্ত আর টাকা পাচ্ছি না।”
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেড়িয়াপুর গ্রামটি দেড়িয়াপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। ওই পাঁচ বাসিন্দা বছর তিনেক আগে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁদের ক্ষোভ, “প্রধানের কথা মতো ব্লক অফিসে বেশ কয়েক বার যাই। কিন্তু কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতার সহযোগিতায় ব্লক অফিস থেকে ৬০০ টাকা করে প্রত্যেতকে দেওয়া হয় এবং বিডিও-র নির্দেশ মতো পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খুলি।” তাঁরা বলেন, “কষ্ট করে আমোদপুরে ব্লক অফিসে টাকা আনতে যেতে হবে না শুনে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু পোস্ট অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় আমাদের নামে কোনও টাকা জমা পড়েনি। সমস্যার কথা প্রধানকে বলি। তিনি ব্লক অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। সেখান থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, টাকা ঠিক পেয়ে যাব। তবে দেরি হবে। কিন্তু আজও টাকা পেলাম না। কাজ করার ক্ষমতাও নেই।”
তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি সাধন মুখোপাধ্যায় বলেন, “তাঁরা দুঃস্থ। যুগ্ম বিডিও-র কাছে অনুরোধ করেছি, তাঁরা যাতে ভাতা পান।” পঞ্চায়েত প্রধান বিনোদ বাগদি বলেন, “পঞ্চায়েতের তরফ থেকে যা করার, তা করা হয়েছে। এর পরে যা ব্যবস্থা নেওয়ার ব্লক অফিস নেবে।” অন্য দিকে, সাঁইথিয়ার যুগ্ম বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, “তাঁরা অ্যাকাউন্ট নম্বর অফিসে জানাননি। তিন চার দিন হল অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ তাঁদের অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছি। শীঘ্রই প্রাপ্য টাকা পেয়ে যাবেন।” |