চুরি করা এবং চুরির মাল কেনার অভিযোগে এক শিক্ষক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, শুক্রবার তাঁদের ধরা হয়। ধৃতদের শনিবার সিউড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃত দুই চোরের মধ্যে সাধিরুল শেখের বাড়ি মহম্মদবাজারের নতুনপল্লিতে। অপরজন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর বাড়ি মহম্মদবাজারের আঙ্গারগড়িয়ায়। চুরির মাল কেনার অপরাধে সাঁইথিয়ার ছত্রি পাড়ার বাসিন্দা শিক্ষক তপন সিংহ এবং সাঁইথিয়ারই ইউনিয়ন বোর্ড এলাকার সরনাম বিত্তালকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর থানার আইসি মাহাই মেনুল হকের মহম্মদবাজারের বাড়িতে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে চুরি হয়। দুষ্কৃতীরা পুরনো দিনের বহু কাঁসার বাসন চুরি করে নিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। প্রথমে মহম্মদবাজারের নতুনপল্লির বাসিন্দা সাধিরুল শেখ ধরা পড়ে। পুলিশের দাবি, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় এই চুরির ঘটনায় সে ছাড়াও আঙ্গারগড়িয়ার বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ও রমেশ বাগদি যুক্ত। চুরির মাল তারা সাঁইথিয়ার সরনাম বিত্তালকে বিক্রি করেছে বলেও জানা যায়। রমেশকে ধরতে না পারলেও বিশ্বজিৎকে ধরে ফেলে পুলিশ। সাধিরুল ও বিশ্বজিতের কাছ থেকে চুরি যাওয়া মালের কিছুটা উদ্ধার হয়। ধৃতদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে প্রথমে সরনাম বিত্তলকে এবং পরে ওই শিক্ষক তপন সিংহকে তাদের কাঁসা পিতলের দোকান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া মালপত্রের বেশিরভাগটাই উদ্ধার করা হয়েছে।
তপনবাবুর ছেলে অর্ক সিংহ অবশ্য দাবি করেন, “দোকানটি বাবার নয়। আমার নামেই লাইসেন্স রয়েছে। বাবা ওই দোকানে বসেনও না। ঘটনাচক্রে ওই দিন আমি কাজে বাইরে যাওয়ায় বাবা কিছুক্ষণের জন্য দোকানে বসেছিলেন। বাবা ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নন।” চোরাই মাল কেনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাড়ির ব্যবহার করা পুরনো বাসনপত্র অনেকেই বিক্রি করে দেন। সব দোকানই তা কেনে। কিন্তু কোন পুরনো জিনিস চোরাই আর কোনটা নয় তা বুঝব কী ভাবে!” জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “জেলা জুড়ে খোঁজ খবর করা হচ্ছে কারা চোরাইমাল কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত।” এ দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রাজা ঘোষ বলেন, “শিক্ষকদের এ ধরনের কাজ কর্মে আমি লজ্জিত। সবরকম খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” |