বর্ধমানে ফের সিপিএম নেতাদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় মেমারির রসুলপুরে দলের মেমারি জোনাল সদস্য স্বপন সেনগুপ্ত ও স্থানীয় নেতা পরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরেশবাবুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও স্বপনবাবু মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অমল হালদারের অভিযোগ, “প্রতিদিনই নানা ভাবে আমরা আক্রান্ত হচ্ছি। পুলিশ-প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।” স্বপনবাবু জানান, এ দিন তাঁরা মেমারির ছানাপুকুর পাড়ে কৃষকসভার সদস্য সংগ্রহের কাজে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ে তৃণমূলের লোকজন আচমকা আক্রমণ করে তাঁদের। চেলা কাঠ দিয়ে দু’জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে স্বপনবাবু আক্রমণকারীদের নাম পুলিশকে জানাতে পারেননি। মেমারির তৃণমূল নেতা স্বপন ঘোষালের অবশ্য দাবি, “এই ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নয়। ওই দুই নেতা প্রচুর দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। সে জন্যই এ দিন এলাকায় দেখে স্থানীয় মানুষজন মারধর করেন।”
|
দু’টি ‘হ্যান্ড ট্রাক্টরে’র মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক ট্রাক্টরচালকের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাধন ক্ষেত্রপাল (৪৬)। শনিবার রাতে কালনা ২ ব্লকের বহরপুরি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ মাঠ থেকে আলু তুলে ট্রা্যাক্টরে করে কাছেই সিঙ্গেরকোন গ্রামের একটি হিমঘরে নিয়ে যাচ্ছিলেন সাধনবাবু। হিমঘরের কাছকাছি আসতেই হঠাৎ উল্টো দিক থেকে আর একটি ট্র্যাক্টর এসে পড়ে। সাধনবাবু ছিটকে পড়ে যান। বিকেলে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
|
বাপের বাড়ি আসার পথে মোটরভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম জ্যোৎস্না হালদার (৪০)। তিনি নদীয়ার মানিকনগর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার তাঁর চার ছেলে মেয়েকে নিয়ে তিনি সকালে পূর্বস্থলীর ভৈদরপাড়ায় তাঁর বাপের বাড়িতে রওনা হন। পূর্বস্থলীর সমুদ্রগড় এলাকা থেকে দুপুর নাগাদ তিনি ভ্যানে ওঠেন। ভৈদরপাড়ার কাছাকাছি এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ভ্যানটি। ছিটকে পড়ে যান জ্যোৎস্না দেবী। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার রাতে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। |