পুলিশের কাছে দলের একটি অস্থায়ী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ জানিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রহৃত হলেন দুই তৃণমূল সমর্থক। অভিযোগ, দলেরই একটি গোষ্ঠী এই ঘটনায় জড়িত। খণ্ডঘোষের খেজুরহাটি বাজারের এই ঘটনায় জখম দুই তৃণমূল সমর্থক মোল্লা জিয়ারুল ইসলাম ও ফটিক মণ্ডল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। রবিবার বিকেলে অভিযুক্তদের ধরার দাবিতে খণ্ডঘোষ থানায় বিক্ষোভ দেখান কিছু তৃণমূল সমর্থক।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে ভর্তি জিয়ারুল ইসলামের অভিযোগ, “শনিবার সকালে স্থানীয় মাসিল্যা গ্রামে দলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বচসার জেরে আমাদের একটি অস্থায়ী অফিসে ভাঙচুর হয়। এই ঘটনায় আমরা কয়েক জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানাই। থানা থেকে আমি আর ফটিক মোটরবাইকে চেপে নিশ্চিন্তপুরে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলাম। খেজুরহাটি বাজারের কাছে মোয়াজ্জেম হোসেন মনির কিছু সমর্থক আমাদের বাইক থেকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে।” |
এ ব্যাপারে খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ করেছেন প্রহৃতদের পরিজনেরা। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মনির অবশ্য দাবি, এই ঘটনায় তিনি বা তাঁর কোনও লোকজন জড়িত নন।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতা অপার্থিব ইসলামের অভিযোগ, “মোজাজ্জেম হোসেনের কিছু অনুগামী এলাকায় অবৈধ বালি খাদান চালাচ্ছে। সিপিএমের দুষ্কৃতীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা প্রকৃত তৃণমূল কর্মীদের উপরে নানা রকম অত্যাচারও চালাচ্ছে। দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর জন্যই আমাদের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”
মোয়াজ্জেম হোসেনের পাল্টা অভিযোগ, “খণ্ডঘোষের কয়েকটি জায়গায় ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে কিছু লোক তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। তারাই আমাদের কর্মীদের উপরে নানা রকম অত্যাচার করছে। আমি পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছি।” পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে না, এই অভিযোগে এ দিন বিকেলে খণ্ডঘোষ থানায় বিক্ষোভ দেখান এক দল তৃণমূল সমর্থক। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |