বিএমওএইচকে মারধরের অভিযোগ উঠল অসুস্থ এক বালকের বাবার বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে স্বরূপনগরের শাঁড়াপুল হাসপাতালে। ছেলেটির বাবা-মাকেও হাসপাতালের কর্মীরা পাল্টা নিগ্রহ করেছে বলে অভিযোগ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিথারির গোয়ালপোতা গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রসুল মণ্ডল পেশায় শিক্ষক। স্কুলে যাওয়ার পরে বেলা ১১টা নাগাদ তাঁর কাছে খবর আসে, ছেলে সায়ন স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রসুল পড়ে বিথারি পশ্চিমপাড়া স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে। রসুল তড়িঘড়ি ছেলের স্কুলে চলে আসেন। জানতে পারেন, খেলতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিল ছেলে। মাথার পিছনে চোট পেয়েছে। জ্ঞানও হারিয়ে ফেলেছিল ছেলেটি। রসুলের স্ত্রী সাহানাজ মণ্ডলও তত ক্ষণে চলে এসেছিলেন স্কুলে। ছেলেকে নিয়ে বাবা-মা আসেন শাঁড়াপুল হাসপাতালে।সেখানে তখন স্বাস্থ্যশিবির চলছিল। গোলাম বলেন, “এক জন চিকিৎসক জরুরি বিভাগের দিকে যাচ্ছেন দেখে তাঁকে বলি, ছেলের শরীর খুবই খারাপ। তাকে যেন এখনই পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু ওই চিকিৎসক বলেন, বহির্বিভাগ থেকে টিকিট করে অপেক্ষা করতে হবে।” সায়ন তখন যন্ত্রণায় ছটফট করছে। সন্তানের এই পরিস্থিতি দেখে দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ওই চিকিৎসকের জামা টেনে ধরেন গোলাম। তাঁর দাবি, চিকিৎসককে বলেছিলাম ছেলের চিকিৎসা অবিলম্বে শুরু করতে হবে। এর পরেই হাসপাতালের কিছু লোক এসে তাঁদের উপরে চড়াও হয়। মারধর করে।অভিযোগ অস্বীকার করে বিএমওএইচ বিভাস পাঠক বলেন, “ওঁদের বলেছিলাম, এক রোগীকে দেখে এসেই ছেলেটির পরীক্ষা করব। কিন্তু সে কথা শুনেই ওঁরা আমার উপরে হামলা করেন। কয়েক জন স্বাস্থ্যকর্মী এসে আমাকে উদ্ধার করেছেন।” ঘটনার কথা পুলিশ, বিডিও ও স্বাস্থ্যকর্তাদের জানিয়েছেন বিভাসবাবু।কিন্তু অসুস্থ ছেলেটির কী হল? বিভাসবাবু বলেন, “ছেলেটিকে দেখার সুযোগই দেওয়া হয়নি আমায়।” সায়নকে পরে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট হাসপাতালে। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |