ইটভাটার ‘দখল’কে কেন্দ্র করে সিপিএমের দুই নেতা ও তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে মারামারি বাধল কুলপিতে। জখম হয়েছেন কয়েক জন। গোলমাল ঠেকাতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিশ কর্মীরাও। তাঁদের লক্ষ করে ২ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। ভাঙচুর হয়েছে ৪টি দোকান। সিপিএমের কুলপি জোনাল কমিটির এক সদস্য-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর পরিবারেই ৫ জনকে। সিপিএমের কুলপি জোনাল কমিটির সম্পাদক শকুন্তলা পাইকের দাবি, “দুই পরিবারের বিবাদে এই ঘটনা ঘটেছে। গোলমালের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কুলপির ইনসিনবেড়িয়া গ্রামের কাছে হুগলি নদী লাগোয়া একটি ইটভাটা আছে। মালিক কলকাতার বাসিন্দা। কুলপি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিএম প্রধান অষ্ট হালদার দীর্ঘ দিন ধরে ওই ভাটার ব্যবসা দেখাশোনা করেন। অন্য দিকে, সিপিএমের কুলপি জোনাল কমিটির সদস্য পলাশ হালদারও বহু দিন ধরে এই ভাটার দখল নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। যে কারণে আগেও দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক বার মারপিট হয়েছে। |
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কুলপি বিডিও অফিস মোড়ের কাছে একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন অষ্টবাবু। অভিযোগ, সে সময়ে পলাশবাবুর নেতৃত্বে সিপিএমের কিছু লোকজন তাঁর উপরে চড়াও হয়। মারধর করা হয় প্রাক্তন প্রধানকে। তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে। দলের নেতার উপরে আক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই অষ্টবাবুর অনুগামীরা পলাশবাবুর চারটি দোকানে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়িতেও চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায় কিছু লোক।
পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়েছিল পলাশবাবুর বাড়িতে। অভিযোগ, সেই সময়ে পুলিশ কর্মীদের মারধর করেন ওই সিপিএম নেতার পরিবারের লোকজন। দেশি বন্দুক থেকে ২ রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয়েছিল পুলিশকে লক্ষ করে। তা অবশ্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। পলাশবাবু, তাঁর বাবা লক্ষ্মীন্দর, কাকা ভাগ্যধর, মা ও স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশকে মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি দেশি বন্দুক। |