টুকরো খবর |
‘চাঁদা’ নিয়ে জোড়া মিছিল গুপ্তিপাড়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
দলীয় সম্মেলনের নামে তৃণমূল নেতাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ‘চাঁদা তোলা’র ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করলেন গ্রামবাসীরা। মিছিল থেকে তৃণমূল নেতা-সমর্থকদের নামে ধিক্কার দেওয়া হয়। তৃণমূলের স্থানীয় সমর্থকেরাও অবশ্য হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন না। ‘দুষ্কৃতী’দের দিয়ে দলের নেতাদের মারধরের প্রতিবাদে পাল্টা মিছিল করেন তাঁরাও। জোড়া মিছিলকে কেন্দ্র করে এ দিন সরগরম ছিল গুপ্তিপাড়া। এ নিয়ে অবশ্য এ দিন নতুন করে কোনও অশান্তি হয়নি।তৃণমূল সূত্রের খবর, গুপ্তিপাড়ার বাঁধাগাছির ওই কলেজ থেকে চাঁদা তোলার ঘটনায় দলের নেতাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যের যে তদন্ত কমিটি তৃণমূলের তরফে গড়া হয়েছে, তাঁরা এখনও রিপোর্ট জমা দেননি। আজ, রবিবার ওই রিপোর্ট পেশ করার কথা। দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “রিপোর্ট হাতে পেলেই রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব। তাঁদের নির্দেশ মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, চাঁদা তোলার বিষয়টি নিয়ে হইচই হওয়ায় সেখানে সম্মেলন আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। দল যে বিষয়টি ভাল চোখে দেখছে না, সে কথা স্থানীয় নেতাদের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছে দল। এ দিকে, ওই ঘটনায় ধৃত কলেজের কর্ণধার প্রদীপকুমার চৌধুরীকে শনিবার চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে দু’দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। একই ঘটনায় ধৃত তৃণমূল নেতা নবীন গঙ্গোপাধ্যায়কে অবশ্য এ দিন আদালতে তোলা যায়নি। গ্রামবাসীদের হাতে প্রহৃত ওই নেতা এখনও হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকদের অনুমতি না মেলায় তাঁকে আদালতে নিতে পারেনি পুলিশ।
|
মদের ঠেক ভাঙায় প্রহৃত ৪ জগদ্দলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যারাকপুর |
মদের ঠেক ভাঙা ও এলাকায় অসামাজিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় চার জনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক দল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। পাঁচটি বাড়ি ও একটি দোকানে ভাঙচুরও করা হয়। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জগদ্দলের শ্যামনগর আদর্শপল্লিতে। সঞ্জয় মিদ্যা নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আদর্শপল্লিতে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী মদের ঠেক চালাত। এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা তার প্রতিবাদ করেন। কিছু দিন আগে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল মদের ঠেক। সমাজবিরোধীরা তখনকার মতো পিছু হঠলেও শুক্রবার গভীর রাতে হামলা চালায়। অসামাজিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করেছিল যে পরিবারগুলি, তাঁদের উপরে হামলা চালানো হয়। মারধর করা হয় চার জনকে। তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও জীবন দেবনাথ নামে এক ব্যক্তিকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অন্য দিকে, শনিবার ভোর-রাতে জগদ্দলের কেউটিয়ায় তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফে সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরেই এই ঘটনা।
|
কল্যাণী স্পিনিংয়ের কর্মীরা অনশনে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বন্ধ কারখানা খোলা ও বকেয়া বেতনের দাবিতে অনশনে বসলেন শ্রমিকেরা। শনিবার সকাল থেকে কল্যাণী স্পিনিং মিলের অশোকনগরের ইউনিটের শতাধিক কর্মাচারী ও শ্রমিক কারখানার গেটের সামনে অনশনে বসেন। সিপিএম তথা সিটুর সমর্থনে মিল বাঁচাও কমিটির ডাকে ১২ ঘণ্টা অনশন করেন তাঁরা। কারখানাটি রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের অধীনে রয়েছে। দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, “বন্ধ কারখানাটির ব্যাপারে ইতিমধ্যেই আমাদের সঙ্গে অথর্র্, শিল্প ও অন্য দফতরের বৈঠক হয়েছে। পরিকল্পনামাফিক কাজও এগোচ্ছে। এ দিন সিটুর সমর্থনে কিছু শ্রমিক অনশনে বসেন। তাঁদের অনুরোধ করব এসব থেকে বিরত থাকার জন্য।” ২০১১ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বকেয়া টাকা না পাওয়ায় কারখানার সংযোগ বিছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে কারখানার হাজারেরও বেশি শ্রমিকের। অশোকনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সত্যসেবী কর বলেন, “চার মাস ধরে বেতন বন্ধ। অবিলম্বে বকেয়া বেতন না পেলে শ্রমিকদের অনাহারে দিন কাটবে। বাম সরকারের আমলে কারখানাটি ভর্তুকি দিয়ে চালানো হত। কিন্তু নতুন সরকার এসে তা বন্ধ করে দিয়েছে।” স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ধীমান রায় বলেন, “রাজ্য সরকারের তরফে দ্রুত বেতন মেটানোর চেষ্টা চলছে।”
|
বাস-শ্রমিকের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যারাকপুর |
চলন্ত বাস থেকে পড়ে জখম হয়েছিলেন ব্যারাকপুর-ধর্মতলা ৭৮ নম্বর রুটের এক বাস-শ্রমিক। শনিবার দুপুরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। নাম রাজেশ রায় (২০)। বাড়ি পার্কসার্কাসে। ৩ মার্চ শ্যামবাজারের কাছে জখম হন তিনি। রাজেশের সহকর্মীদের একাংশের দাবি, চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, অস্ত্রোপচার করতে হবে, সে জন্য বেশ কয়েক হাজার টাকা প্রয়োজন। কিন্তু শ্রমিক ইউনিয়নের কাছে সেই টাকা চেয়েও পাওয়া যায়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। প্রতিবাদে শনিবার ওই রুটের বাস বন্ধও রাখেন তাঁর সহকর্মীরা। সংশ্লিষ্ট ‘বাস শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা ১ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, পরে আরও টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু সে সুযোগ আর পাওয়া গেল না।” বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র।
|
সিপিএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
নিজস্ব সংবাদদাতা • কুলপি |
ইটভাটার ‘দখল’কে কেন্দ্র করে সিপিএমের দুই নেতা ও তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে মারামারি বাধল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে। জখম হয়েছেন কয়েক জন। গোলমাল ঠেকাতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিশ কর্মীরাও। তাঁদের লক্ষ করে ২ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। ভাঙচুর হয়েছে ৪টি দোকান। সিপিএমের কুলপি জোনাল কমিটির এক সদস্য-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর পরিবারেই ৫ জনকে। সিপিএমের কুলপি জোনাল কমিটির সম্পাদক শকুন্তলা পাইকের দাবি, “দুই পরিবারের বিবাদে এই ঘটনা ঘটেছে। গোলমালের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।” দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশকে মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি দেশি বন্দুক।
|
বধূর মৃত্যু, ধৃত স্বামী
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে। মৃতের নাম সুধা দলুই (১৮)। দেবীপুরে তরুণীর শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সুধার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, পণের টাকা আদায়ের জন্য তার উপ অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সুধাকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে। তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সুধার স্বামী পলাশ বরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর বাড়ির লোকজন ফেরার।
|
বধূর দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। তাঁর নাম রাজকুমারী অধিকারী (৪০)। শনিবার বারাসতের নেতাজি পল্লির একটি জলাশয়ে তাঁর দেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই এলাকারই বাসিন্দা রাজকুমারীদেবী একটি ওষুধের কারখানায় কাজ করতেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, বুধবার এক সহকর্মী রাজকুমারীদেবীকে ডেকে নিয়ে যান। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি। |
স্কুলে ভাঙচুর পরীক্ষার্থীদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে স্কুলে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরের কামরাবাদ হাইস্কুলে। পুলিশ ও স্কুল সুত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ বছর ধরেই ওই স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আসন পড়ে হরিনাভির একটি স্কুলে। এ বার ওই স্কুলে আসন না দেওয়ার দাবিতে এ দিন কিছু পরীক্ষার্থী ক্লাসের টেবিল-চেয়ার-বেঞ্চ ভাঙচুর শুরু করে। স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক তড়িৎ মান্নান বলেন, “আসন পড়ার বিষয়টি ঠিক করার দায়িত্ব কাউন্সিলের। ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশকে জানাই। পুলিশ আসার আগেই অবশ্য তারা পালিয়ে যায়।” |
|