দেওধর ট্রফির দল থেকে লক্ষ্মীরতন শুক্লকে বাদ দেওয়া নিয়ে তীব্র বিতর্ক বেঁধে গেল। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বাংলার এক নম্বর অলরাউন্ডারকে বাদ দিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল রাজা বেঙ্কটের নেতৃত্বাধীন পূর্বাঞ্চলের নির্বাচক কমিটি।
শনিবার দেওধরের দল নির্বাচনী সভায় বাংলা বাদে বাকি রাজ্যের নির্বাচকরা বিরূপ মনোভাব দেখান লক্ষ্মীকে দলে রাখা নিয়ে। ক্ষুব্ধ নির্বাচকরা বলতে থাকেন, গত বার দেওধরে লক্ষ্মীকে রাখা সত্ত্বেও তিনি শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়ান। এ বছরও দলীপে এক ঘটনা ঘটেছে। দু’টো ঘটনাই ঘটেছে টিম হয়ে যাওয়ার পর। তাই বাদ দেওয়া হোক লক্ষ্মীকে। কারণ, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সৌরভ তিওয়ারিকেও এ বার দলীপে পূর্বাঞ্চল টিমে রাখা হয়নি। বাংলার নির্বাচক প্রধান দীপ দাশগুপ্ত বলার চেষ্টা করেন, এ বছর লক্ষ্মী ভাল ফর্মে রয়েছেন। আর একটা সুযোগ দেওয়া হোক অন্তত। দরকারে তিনি নিজে কথা বলবেন লক্ষ্মীর সঙ্গে। কিন্তু ওড়িশা, অসমের চাপের সামনে দাবি টেকেনি। উল্টে ঢুকে যান ত্রিপুরার অলরাউন্ডার মোরা সিংহ। পূর্বাঞ্চল নির্বাচক কমিটির প্রধান রাজা বেঙ্কট বললেন, “ক্রিকেটীয় কারণে নয়, শৃঙ্খলার কারণে লক্ষ্মী বাদ পড়েছে।”
যার পর বিতর্ক বেঁধে যায় স্থানীয় ক্রিকেটমহলে। গত বারের পূর্বাঞ্চল কমিটিতে বাংলার প্রতিনিধি সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “গত বার দেওধরের আগে ফিজিওই জানিয়েছিল লক্ষ্মী ম্যাচ ফিট নয়। ওকে বাদ দিয়ে অন্যায় হয়েছে।” আর লক্ষ্মীর বক্তব্য, এ বছর দলীপ থেকে সরে দাঁড়ান পারিবারিক কারণে। যেটা কি না ভারতীয় টিমে গম্ভীরও করেছেন। দিল্লি থেকে ফোনে উত্তেজিত লক্ষ্মী বলছিলেন, “এর থেকে বোঝা যায় নির্বাচকরা জানেনই না, গত বার আনফিট ছিলাম বলে খেলিনি। দল নির্বাচনটা কি যাত্রা হয়ে দাঁড়িয়েছে? কোন ক্রিকেটারের চোট আছে, সেটা জানতে তো মাঠে আসতে হবে নির্বাচকদের। এর পর কী ভাবে ভাল খেলার মোটিভেশন পাব?” এখানেই শেষ নয়। একে লক্ষ্মী বাদ। তার উপর বাংলা থেকে টিমে সুযোগ পেয়েছেন মাত্র চার জন। ঋদ্ধিমান সাহা (পূর্বাঞ্চল অধিনায়ক), অনুষ্টুপ মজুমদার, সামি আহমেদ এবং অর্ণব নন্দী। প্রশ্ন উঠছে, হালফিলে সর্বভারতীয় টুর্নামেন্টে বাংলা যখন এত ভাল করছে, তখন মাত্র এই ক’জন কেন? লক্ষ্মী প্রশ্ন তোলেন, “বিজয় হাজারের ফাইনালে বাংলার যদি কেউ দেড়শো করে, তখন কী করবেন নির্বাচকরা? আজই দল নির্বাচন করতে হত?” |