২৫ বলে দরকার ২৫। হাতে তিন উইকেট। এক দিকে ঋদ্ধিমান সাহা, অন্য দিকে সদ্য ক্রিজে আসা সামি আমেদ। দাঁতে দাঁত চিপে বসে বাংলার ড্রেসিংরুম। অন্য দিকে পঞ্জাব অধিনায়ক হরভজন সিংহ আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন উইকেটের জন্য। যে কোনও সময় যে কোনও দিকে ঘুরে যেতে পারে ম্যাচ। যায়নি, কারণ মাত্র সাত বলে ২২ নট আউট করে বাংলার উপর চেপে বসা ফাঁস আলগা করে দিলেন সামি আমেদ। ৪৮তম ওভারেই সেমিফাইনাল শেষ। তিন উইকেটে জিতে বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে চলে গেল বাংলা। সামনে ট্রফির হাতছানি। এই নিয়ে গত পাঁচ বছরে চার বার। তিন বার ফাইনালে উঠলেও ট্রফি এখনও অধরা। সোমবার ফিরোজ শাহ কোটলায় ফাইনালে প্রতিপক্ষ মুম্বই। |
ম্যাচ জিতিয়ে ঋদ্ধি। ছবি: রমাকান্ত কুশওয়া |
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা কখনও কোনও সর্বভারতীয় ট্রফি জেতেনি। এ বার সেই সুযোগ সৌরভের সামনে। সেমিফাইনালে আগাগোড়া কর্তৃত্ব নিয়েই খেলেছে বাংলা। শেষ দিকে সামির ঝোড়ো ইনিংস মাথায় রাখলেও দিনের নায়ক ঋদ্ধিমান সাহা। স্বভাবতই পরের দিকে পালামের উইকেটে ব্যাট করা কঠিন ছিল। বল নিচু হচ্ছিল, ঘুরছিল। এই উইকেটে বিষাক্ত হতেই পারতেন হরভজন। কিন্তু তাঁকে ফণা তুলতে দেননি ঋদ্ধিমান। তাঁর বোলিং গড় ১০-১-২৮-১। ৭১ বলে ঋদ্ধি করে দেন ম্যাচ জেতানো ৫৩ নট আউট। এক সময় হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচটা বের করলেন ঋদ্ধি ও দেবব্রত দাস। তাঁদের ষষ্ঠ উইকেটে ৫১ রানের উপর ভর করেই বাংলা জয়ের রাস্তায় পৌঁছয়। এর আগে রান তাড়া করে বাংলার শুরু ভাল হয়নি। সৌরভ করেন ২৪।
মরসুমে টানা ছ’টা সেঞ্চুরি করে ঋদ্ধি বলছেন, “এই ইনিংসটা সেরা। বল থেমে আসছিল। স্ট্রোক নেওয়া কঠিন ছিল।”
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পঞ্জাব: ২০৫ (মনদীপ ৬৬, সৌরভ সরকার ২-২৪, অর্ণব ২-৪০)। বাংলা ২০৮-৭ (ঋদ্ধিমান ৫৩ ন.আ., রাজবিন্দর ৩-১৯)। |