|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
৪ মার্চ- ১০ মার্চ |
|
দামাস্কাস গ্রজনি তেল আভিভ ওয়াশিংটন কাবুল |
|
• রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূতপূর্ব মহাসচিব কোফি আন্নান এখন সিরিয়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জ ও আরব লিগের দূত। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, হিংসার পথে সিরিয়ার সঙ্কট মিটবে না, প্রশাসনের সঙ্গে বিদ্রোহীদের কথা বলা দরকার। শোনামাত্র তীব্র ক্রোধের সঙ্গে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বিরোধী শিবিরের প্রধান নেতা বুরহান ঘালিয়োন। স্বাভাবিক। প্রেসিডেন্ট বাশারের বাহিনী লাগাতার কামান বন্দুক সাঁজোটা গাড়ি নিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসেবেই এক বছরে সাত হাজারের বেশি মানুষ নিহত। এই জাহান্নামের আগুনে বসে মৈত্রীর হাসি বিকিরণ কঠিন বইকী।
|
• ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানকে আক্রমণের ব্যাপারে তিনি মোটেই অনন্ত কাল অপেক্ষা করবেন না। কোনও ‘ডেডলাইন’ না দিলেও তাঁর মাথায় যে একটা ‘টাইম টেবল’ আছে, এবং তার মধ্যে ইরান যদি ‘কথা শোনে’, তা হলেই মঙ্গল।
• মিট রমনি আরও এগোলেন। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার ছিল ‘সুপার টিউসডে’, অনেকগুলি প্রদেশে একসঙ্গে প্রাইমারি। অন্যান্য রিপাবলিকান প্রার্থীকে পিছনে ফেলে দিলেন রমনি, কিন্তু তত বেশি ভোট পেলেন না, যতটা পেলে সে দিনই নির্ধারিত হয়ে যেত যে তিনিই বিজয়ী।
• আফগানিস্তানে মার্কিন পক্ষ ও আফগান সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হল যে এখন থেকে মার্কিনদের হাতে বন্দি ও বন্দিশালার দায়িত্ব চলে যাবে কাবুলের হাতে। প্রথমেই হস্তান্তরিত ৩০০০ বন্দি-সম্বলিত পারওয়ান জেল।
|
• রুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গ্রজনির এক কেন্দ্রে ভ্লাদিমির পুতিন পেয়েছেন ১৪৮২টি ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী জিউগানভের প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা: ১। তাতে কী? গ্রজনি হল চেচনিয়ার রাজধানী, যেখানে জঙ্গি বিচ্ছিন্নতাবাদ দমনে পুতিন লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে আসছেন। তাতেই বা কী? তা বটে, তবে কিনা, ওই কেন্দ্রটিতে নথিভুক্ত বৈধ ভোটারের সংখ্যা ছিল ১৩৮৯। মানে ভোটদানের হার ১০৭ শতাংশ। রুশ গণতন্ত্র অমর রহে। |
|
লস এঞ্জেলস |
কোক আর পেপসি-র রেসিপি নাকি পৃথিবীর টপ সিক্রেটগুলোর একটা। কী ভাবে এত বছর ধরে গোপন রাখা হয়েছে সেই রসায়ন, তা নিয়ে গল্প প্রায় লোকগাথায় পরিণত হয়েছে। সেই রেসিপিতেই পরিবর্তন। এই কালো পানীয়র রংটি তৈরি হয় যে রাসায়নিকে, সেই ৪-মিথাইলিমিডাজোল-কে ক্যালিফোর্নিয়ায় ক্যান্সারের সম্ভাব্য কারণ (কার্সিনোজেন) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রেসিপি না বদলালে অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা মেনে নিতে হত, তাই দুটি সংস্থাই এই রাসায়নিকের ব্যবহার কমাতে রাজি হল। যদিও, এই রাসায়নিকটি থেকে ক্যান্সার হতে পারে, মানতে নারাজ কোকা কোলা। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও বলেছে, গবেষণাগারে এই রাসায়নিকটি ইঁদুরের ওপর যে পরিমাণে ব্যবহার করা হয়েছিল, ততটা রাসায়নিক শরীরে যেতে হলে প্রতি দিন এক হাজার ক্যানেরও বেশি কোক খেতে হবে! তবু, সাবধানের মার নেই। |
প্যারিস |
নিকোলাস সারকোজি হতাশ। ফ্রান্সে নাকি অভিবাসীরা উত্তরোত্তর সংখ্যায় বেড়ে এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যেখানে গোটা দেশের পক্ষেই তারা একটা বিরাট সমস্যা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ফ্রান্সের অভিবাসী নীতিও বিপুল ভাবে ব্যর্থ বললেন সারকোজি। প্রশ্ন তুললেন, কী ভাবেই বা তা সার্থক হবে, এত অভিবাসী হলে তাদের স্কুলশিক্ষা, বাসস্থান, চাকরি দেওয়া কি সম্ভব? অভিযোগ উঠছে, সারকোজির এই সহসা-দক্ষিণপন্থী অবস্থানের কারণ আসলে অতি-দক্ষিণপন্থী প্রেসিডেনশিয়াল প্রার্থী ল্য প্যাঁ-র কাছ থেকে ভোটারদের সরিয়ে আনা। প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছর এটা। সারকোজি আবারও প্রার্থী। ইতিমধ্যেই শুরু প্রবল ক্যাম্পেন।
|
আবুজা |
নাইজেরিয়াতে কয়েক জন পণবন্দিকে মুক্ত করতে অতর্কিত হানা সে দেশের সরকারি বাহিনীর। তাদের সাহায্য করে ব্রিটিশ সৈনিকরা। অভিযানে দু’জন পণবন্দি নিহত হন। এই ঘটনায় ব্রিটেন আর ইতালির মধ্যে এক ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। কারণ, দুই নিহত পণবন্দির এক জন ইতালিয়ান নাগরিক, অন্য জন ব্রিটিশ। ওই অভিযানের খবর ইতালি সরকারকে আগে জানানো হয়নি। অথচ, এক দেশের নাগরিক অন্য দেশে পণবন্দি হলে উদ্ধার অভিযানের আগে সেই দেশের সঙ্গে আলোচনা করাই দস্তুর। নাইজেরিয়া তো বটেই, খাস ব্রিটেন কেন সেই দস্তুর মানেনি, প্রশ্ন তুলেছে রোম। একুশ শতকে আফ্রিকা সহসা আন্তঃ-ইউরোপীয় দ্বন্দ্বের মঞ্চ।
|
ওয়াশিংটন |
গুজরাত সরকার রাজ্যের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করুক মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ প্রস্তাব আনলেন ডেমোক্র্যাট সদস্য এলিসন। ভিন্ দেশের এক রাজ্য সরকারের কর্তব্য সম্বন্ধে এমন কড়া প্রস্তাব ব্যতিক্রমী ঘটনা। গুজরাত-প্রশ্নে অবশ্য আমেরিকা আগেও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। নরেন্দ্র মোদীকে সে দেশের ভিসা দেওয়া হয়নি। ঘটনার দশ বছর পরে আবার প্রতিক্রিয়া। কোনও গভীর তাৎপর্য?
|
শেষ পাত |
২০০৭ সাল থেকে মন্দা। আর, নতুন এক গবেষণায় দেখা গেল, তখন থেকেই মার্কিন নাগরিকরা রোগা হতে আরম্ভ করেছেন। ‘বেশি খেলে বাড়ে মেদ, না খেলে নাই কোনও খেদ’ বলে অবশ্য এই খবরটাকে ব্যাখ্যা করা কঠিন। কারণ, এত দিন অবধি যত গবেষণা হয়েছে, সবেতেই দেখা গিয়েছে, ও দেশে সবচেয়ে গরিব শ্রেণির মানুষ ছাড়া প্রত্যেকেরই রোজগার কমলে ওজন বাড়ে, কারণ তখন তাঁরা সস্তা কিন্তু বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার, অর্থাৎ জাঙ্ক ফুড, বেশি খান। নতুন গবেষণায় পাওয়া তথ্য তার উল্টো কথা বলছে। কেন অনেকেরই ওজন কমল, আর্থিক অভাবে খাদ্যাভ্যাস কী ভাবে বদলাল, তা নিয়ে বড় গবেষণা প্রয়োজন। |
|
|
|
|
|