পার্টি কংগ্রেসের আগে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে পলিটব্যুরোয় আলোচনার মধ্যেই সিপিএমে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া। সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাটের রাজ্য কেরলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলে এক জন সিপিএম বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। রাজ্য সম্পাদক পিনারাই বিজয়ন একে ‘কংগ্রেসের চক্রান্ত’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। কংগ্রেস সেই অভিযোগ মানতে নারাজ।
কাল রাজ্যের সিপিএম বিধায়ক আর সেলভারাজা পদত্যাগ করেন। তাঁর অভিযোগ, দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হচ্ছেন তিনি। নেতৃত্বের কাছে ‘সুবিচার’ পাওয়ার আশা নেই জেনেই পদত্যাগ করছেন। স্বাভাবিক ভাবেই কেরল সিপিএম এতে ধাক্কা খেয়েছে। বিধানসভায় ক্ষমতাসীন কংগ্রেস-জোটের সঙ্গে সিপিএম-জোটের ব্যবধান খুবই সামান্য। ১৪০ আসনের বিধানসভায় ৭২টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস-জোট। এর মধ্যে আবার পিরাভম আসনের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাত্তন মন্ত্রী টি এম জ্যাকবের মত্যু হয়েছে। ক’দিন পরেই ওই আসনে উপনির্বাচন। বাম জোটের আসনসংখ্যা এখন ৬৮। কংগ্রেস সরকারকে চাপে ফেলতে ওই আসনটি জিততে সর্বশক্তি দিয়ে উপনির্বাচনে ঝাঁপাচ্ছে সিপিএম। সিপিএম ওই আসনটি জিতে গেলে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে কংগ্রেস সরকারের কমপক্ষে যে আসন সংখ্যাটি দরকার, সেটাই থাকবে। ঠিক সেই সময় দলেরই এক বিধায়কের পদত্যাগ এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ রাজ্য নেতৃত্বকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে।
চাপের মুখে বিজয়ন অভিযোগ করেছেন, এ সবই মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চাণ্ডির চক্রান্ত। সেলভারাজকে লোভ দেখিয়ে পদত্যাগ করানো হয়েছে। কারণ কংগ্রেসের আশঙ্কা, পিরাভম উপনির্বাচনে তারা হেরে যাবে। ওমেন চাণ্ডির পাল্টা যুক্তি, ক্ষমতা ধরে রাখতে তারা ছলচাতুরির আশ্রয় নিচ্ছেন না।
তবে সিপিএম কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কেরল পার্টির সম্পর্কে যথেষ্ট বিরক্ত। দলের এক জন বিধায়ক ‘কংগ্রেসের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছেন’ বলে প্রচার করাটাও ভাল বার্তা পাঠাবে না বলেই এ কে গোপালন ভবন মনে করছে। বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে কমেনি, এই ঘটনা তার প্রমাণ বলেও মনে করা হচ্ছে। |