অভিযোগ উঠল খুনের
নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
ঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে সন্দেশখালির দুর্গামণ্ডপে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শ্রীদাম নস্কর (৩৫)। বাড়ি দুর্গামণ্ডপের জেলিয়াখালির পূর্বখণ্ড গ্রামে। মৃত যুবকের বাবা ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএম এবং মৃত শ্রীদাম তৃণমূলের সমর্থক হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনায় রাজনৈতিক রং লেগেছে। তৃণমূলে তরফে প্রধানের ছেলে সহ কয়েকজনকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের বক্তব্য খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে মারা গিয়েছেন শ্রীদাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রং খেলা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গামণ্ডপ পঞ্চায়েত প্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডলের ছেলে বাপ্পা ১০-১২ জন বন্ধুকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেন। গ্রামের অভিজিৎবীর, জয়ন্ত মণ্ডল, দিলীপ নস্করের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন শ্রীদাম। পুলিশ জানিয়েছে, জেলিয়াখালি পঞ্চায়েতে বাস্তুকারের কাজ করেন বাপ্পা। ঠিকাকর্মী হিসাবে জয়ন্ত মণ্ডলের সঙ্গে লেনদেনের সম্পর্ক ছিল শ্রীদামের। এ দিন খাওয়া দাওয়ার পরে রাত ১১টা নাগাদ অসুস্থ বোধ করেন শ্রীদাম। সঙ্গীরা তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে শুখদুয়ানি গ্রামের হাতুড়ে শেখর মণ্ডল ও সেখান থেকে ভাঙাতুষখালির হাসানুরল্লা-সহ তিনজন হাতুড়ের কাছে নিয়ে যান। সকলেই শ্রীদামকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। এর পরে রাত তিনটে নাগাদ সঙ্গীরা শ্রীদামকে তাঁদের বাড়ির বারান্দায় রেখে চিকিৎসক ডাকার নাম করে সরে পড়ে। শ্রীদামের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
শ্রীদামবাবুর বাবা অনিলবাবু বলেন, “সম্প্রতি কৃষিজমি বিক্রি করে কয়েক লক্ষ টাকা পেয়েছিল ছেলে। ঠিকাদারদের ওই টাকা সুদে দিয়েছিল। পাওনা টাকা আদায় নিয়ে বিবাদ চলছিল জয়ন্ত, অভিজিৎ ও দিলীপের সঙ্গে। হোলির দিন বিকেলে ওরাই ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রধানের বাড়িতে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “প্রধানের বাড়িতেই মদের সঙ্গে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে ছেলেকে খুন করা হয়েছে।”
তৃণমূলের স্থানীয় গ্রাম কমিটির সম্পাদক সনৎ জাগুলিয়া ও জেলা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সেলের চেয়ারম্যান নারায়ণ গোস্বামী বলেন, “নিমন্ত্রিত সকলেই মদ-মাংস খেল, অথচ একজনের মৃত্যু হল বিষক্রিয়ায়। এটা হতে পারে না। পরিকল্পনা করেই মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানোয় মৃত্যু হয়েছে শ্রীদামের। দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
খুনের অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, “হোলি উপলক্ষে ছেলে তাঁর ১০-১২ জন বন্ধুকে বাড়িতে খাওয়ার নিমন্ত্রণ করেছিল। রাতে মাংস-ভাত খাওয়ানো হয়। রাত ১১টা নাগাদ নিমন্ত্রিতদের একজন অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যরা তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। ওই সময় ছেলে বাড়িতেই ছিল। মৃতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.