|
|
|
|
ডাকঘর |
শেখর স্মরণে |
‘দেহপট মনে নট সকলই হারায়’এই উক্তি কি সত্য? হয়তো এক গভীর বিষাদ থেকেই এই ভাবনাকে ভেবেছিলেন মহাকবি গিরিশচন্দ্র! নতুবা ডাকসাইটে নট শেখর গঙ্গোপাধ্যায় (১৯৩৬-২০০৯)-কে কী ভাবে ভুলে গেলেন জেলাবাসী? আজও তার নামে বহরমপুরে তৈরি হল না কোনও স্থায়ী মঞ্চ বা প্রতিষ্ঠান। অথচ অল্প বয়সে এই বহরমপুর থেকেই অভিনয় শুরু করেছিলেন তিনি। স্থানীয় সিনেমা হলে সাধারণ একটা চাকরি করতেন, সেই সঙ্গে শৌখিন যাত্রায় অভিনয়। তার অভিনীত পালাগুলির মধ্যে ‘বাঙালি’, ‘সতীর পতি’, ‘দুর্গেশনন্দিনী’ অন্যতম। দীর্ঘকায়, দরাজ কণ্ঠের অধিকারি মানুষটি সান্নিধ্য পেয়েছিলেন ‘নটসম্রাট’ স্বপনকুমারের মতো ব্যক্তিত্বের। ‘বাঙালি’-তে দাউদ স্বপনকুমার এবং মুনিম খাঁর ভূমিকায় শেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিনয় দর্শকমহলে উচ্চপ্রশংসিত হয়। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি ‘বেগু’ নামে পরিচিত ছিলেন। অভিনেতা পঞ্চানন (পঞ্চু) সেনের উৎসাহে পরে তিনি কলকাতার যাত্রাদলে যোগ দিয়েছিলেন। নিউ আর্য অপেরা, নট্ট কোম্পানির মতো যাত্রাদলে অভিনয় তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। অভিনেতা উৎপল দত্তকে নিজের গুরু মানতেন এবং উৎপল দত্তের পরিচালনায় লোকনাট্য দলে বেশ কয়েক বছর কাজ করেন। সেই সময়ে ‘সন্ন্যাসীর তরবারি’ পালায় শেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের অনবদ্য অভিনয় পরবর্তীতে নবরঞ্জন অপেরা, নট্ট কোম্পানি, অগ্রগামীর মতো যাত্রাদলে তা ক্রমান্বয়ে বিস্তৃত হয়েছে। নির্দেশক হিসেবেও বিভিন্ন যাত্রাপালা দলের দায়িত্ব পালন করেন। জীবন সায়াহ্নে এসে বেশ কিছু পথনাটক ও কয়েকটি টেলি-সিরিয়ালে অভিনয় করেন। তবে কোনও এক অজ্ঞাত কারণে মঞ্চের এই দাপুটে অভিনেতা চলচ্চিত্র জগতে ব্রাত্যই থেকে যান। জেলার নাট্য বোদ্ধারা আজও মনে করেন ব্যক্তিগত জীবনে কিছুটা বিতর্কিত চরিত্র শেখর গঙ্গোপাধ্যায় নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করেননি। জেলাবাসী হিসেবে শেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যেই এই চিঠি।
শুভায়ু সাহা, বহরমপুর
|
অগম্য সড়ক |
বড়ঞা ব্লকের মির্জাপুর, ধান্যঘড়া, গৌরীনগর এবং রামেশ্বরপুর গ্রামগুলির সবচেয়ে বড় সমস্যা রাস্তাঘাট। বর্ষাকালে লাগোয়া ওই চারটি গ্রামের যাতায়াত ব্যবস্থা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। মোটরবাইক এবং সাইকেল ব্যবস্থার করা যায় না। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াত ভীষণ রকম ভাবে বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে। আরও যন্ত্রদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হয় প্রসূতি মহিলা ও রোগীদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। বাস চলাচলের পিচ রাস্তা থেকে দূরবর্তী ওই চারটি জনপদের মানুষের ব্যবহারের উপযোগহী রাস্তার দাবি দীর্ঘ দিনের। কিন্তু প্রশাসন কার্যত উদাসীন। ভাঙাচোরা বেহাল বর্তমান সংকীর্ণ রাস্তাটি নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। এই অসন্তোষকে গুরুত্ব দিয়ে বর্ষার আগেই রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে নজর দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত সমিতি থেকে প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি। সেই সঙ্গে বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকেও ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য স্থানীয় বিধায়কের কাছে দাবি রাখছি।
সুভাষ ঘোষ হাজরা, পাঁচথুপি |
|
|
|
|
|