টুকরো খবর
আজ সৌরভ বনাম হরভজন
‘ক্যাচলাইন’-টা তৈরি করতে কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। এক দিকে যদি থাকেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, আর উল্টো দিকে হরভজন সিংহ, ‘গুরু’ বনাম ‘শিষ্য’ তুলনাটা এমনিই চলে আসে। আর শুক্রবারের বিজয় হাজারে ট্রফির সেমিফাইনালে সেটা আসছেও। পারস্পরিক শ্রদ্ধা জাতীয় দলে খেলার সময় যেমন ছিল, তা আজও আছে। সঙ্গে যেটা জুড়েছে, তা হল যুদ্ধের চাপা উত্তেজনা। অশোক দিন্দা নেই শুনে হরভজন যদি বলেন, “অ্যাডভান্টেজ পঞ্জাব,” তা হলে সৌরভ বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন না দিন্দার না থাকাকে। বলে ফেলছেন, “যারা নেই, তাদের নিয়ে ভেবে লাভ নেই। যারা আছে, তাদের নিয়েই লড়ব।” দিন্দা খেলবেন কি খেলবেন না, তা নিয়ে একটা চাপা টেনশনের বাতাবরণ ছিল পঞ্জাব টিমে। সেটা পঞ্জাব অধিনায়কের কথা থেকেই স্পষ্ট। “সাম্প্রতিক কালে এত ভাল কোনও পেসারকে বল করতে দেখিনি। দিন্দার না খেলা তো আমাদের সুবিধা দিচ্ছেই,” প্র্যাক্টিস শেষে বলছিলেন হরভজন। যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা, থাকা না থাকা নিয়ে চুলচেরা হিসেব-নিকেশ পঞ্জাব শিবিরে, সেই দিন্দা এ দিন বিকেলেই এশিয়া কাপ খেলতে কলকাতা ছাড়লেন মনোজকে সঙ্গে নিয়ে। জানিয়ে গেলেন, এশিয়া কাপই ঠিক করে দেবে জাতীয় দলে তাঁর ভবিষ্যৎ। আশা-নিরাশার দোলাচলে দাঁড়িয়ে মনোজ তিওয়ারি আবার বলে গেলেন, “বাংলাদেশে এক এশিয়া কাপে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলাম। আবার এশিয়া কাপ। আবার বাংলাদেশ। দেখা যাক কী হয়।” মনোজের বদলি শুভময় দাস হতে পারেন। কিন্তু শনিবার দিন্দার পরিবর্তে কাকে নামানো হবে, তা ঠিক করে উঠতে পারেননি সৌরভ। হাতে দু’টো বিকল্প, উঠতি পেসার বীরপ্রতাপ সিংহ। অন্য জন অলরাউন্ডার সঞ্জীব সান্যাল। সৌরভ বলেও দিলেন, “উইকেট দেখে ঠিক করব কাকে নামাব।” পঞ্জাব আবার পাচ্ছে না অন্যতম সেরা স্পিনার, জাতীয় দল ফেরত রাহুল শর্মাকে। বদলে ঢুকছেন বিনয় শর্মা।

ফেডারেশন বনাম ক্লাব জোট ‘যুদ্ধ’ নতুন মোড় নিতে পারে আজ
ফিফা প্রেসিডেন্ট শেপ ব্লাটারের দিল্লি সফরের পরদিনই ফেডারেশন বনাম আই লিগ ক্লাবগুলোর ‘যুদ্ধ’ নতুন দিকে মোড় নিতে চলেছে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এ এফ সি-র ক্লাব লাইসেন্সিং চুক্তিপত্র পাঠানো হয়েছিল ক্লাবগুলির কাছে। নির্ধারিত দিনের পর প্রায় একমাস পেরিয়ে গেলেও তাতে সই করেনি দেশের প্রধান এগারোটি ক্লাব। স্পোর্টিং ক্লুব আর লাজং সই করলেও পরে তা প্রত্যাহার করা হয় বলে ক্লাব কর্তাদের দাবি। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা ঠিক করতে আজ শুক্রবার মুম্বইতে ক্লাবগুলির মালিক এবং চেয়ারম্যানরা সভায় বসছেন। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ক্লাবগুলির দাবি পূরণ না হলে পরের মরসুমের আই লিগ বয়কটের হুমকি দেওয়া হতে পারে। ফেডারেশন অবশ্য ইতিমধ্যেই এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময় নিয়েছে ক্লাবগুলির কাছে। ক্রিকেট আই পি এলের ধাঁচে আলাদা স্বশাসিত কমিটি, টিভি সম্প্রচার স্বত্বের লভ্যাংশ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব আই লিগের ক্লাবগুলি। ফেডারেশন ও স্পনসর আই এম জি কর্তাদের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছিল তারা। ক্লাবগুলির অভিযোগ, সময় নষ্টের খেলা খেলছে এআইএফএফ। তা আন্দাজ করেই ২০১২-১৩ মরসুমের এ এফ সি-র নিয়ম মানার চুক্তিপত্রে সই করেনি ক্লাবগুলো। সই করে পাঠানোর কথা ছিল ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। রাতে মুম্বই পৌঁছে মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র বললেন, “ফেডারেশন যদি এ এফ সি-র নিয়ম মানে তা হলে সই করায় সমস্যা নেই। সব ঠিক হবে শনিবারের বৈঠকে।” সেজন্যই মুম্বইয়ের আজকের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। ডেম্পোর মালিক শ্রীনিবাস ডেম্পো, সালগাওকরের মালিক শিবানন্দ সালগাওকর যেমন থাকবেন তেমনই থাকার কথা ছিল কলকাতার দুই প্রধানের মালিক বিজয় মাল্য এবং সিদ্ধার্থ মাল্যের। কিন্তু মাল্যরা সময় দিতে না পারায় মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র এবং ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার উপস্থিত থাকবেন দুই ক্লাবের হয়ে।

শৈলেন মান্নার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গরহাজির মোহনবাগান
শৈলেন মান্নাকে শ্রদ্ধা বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
শৈলেন মান্নার মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ মোহনবাগান তাঁবুতে না নিয়ে যাওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। প্রয়াত ফুটবলারের স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে তাঁর ক্লাবের তৈরি হওয়া সেই দূরত্ব বজায় থাকল শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও। ফলে শুক্রবার সল্টলেকে এফ ডি পার্কে নীলাঞ্জনা মান্না আয়োজিত পারলৌকিক ক্রিয়ার দিনও বিতর্ক-মুক্ত হতে পারল না। ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র এ দিন দুপুরেই চলে গিয়েছেন মুম্বই। ফোনে তিনি বলে দিলেন, “আমি বাড়ি ছিলাম না। বাড়িতে কেউ কার্ড ফেলে গেছে কি না জানি না। আমাদের ক্লাবের কেউ কার্ড পেয়েছে বলে জানা নেই। আমি কিন্তু হাতে কোনও কার্ড পাইনি।” শৈলেন মান্নার মেয়ে নীলাঞ্জনা অবশ্য মোহন-সচিবের অভিযোগ অস্বীকার করে বললেন, “আমার হয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন জায়গায় নিমন্ত্রণ করেছেন। ময়দানের এক পরিচিত মারফত মোহনবাগানের প্রেসিডেন্ট-সচিব সহ অনেককেই কার্ড পাঠিয়েছি। সবাই কার্ড পেয়ে এল, ওরাই শুধু পেল না?” মোহনবাগান গরহাজির থাকলেও এ দিন শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন অনেকেই। তিন অলিম্পিয়ান বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়, নিখিল নন্দী, গুরবক্স সিংহ-সহ অনেক প্রাক্তন ফুটবলার এসেছিলেন। ছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল কুমার সেন। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে মালা দেন সহ সচিব শান্তি রঞ্জন দাশগুপ্ত। আই এফ এ, সি এ বি-সহ বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে মাল্যদান করা হয় কিংবদন্তির ছবিতে। হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র-সহ কয়েকজন মন্ত্রী। সুজিত বসু-সহ কয়েকজন বিধায়ক এসেছিলেন। কলকাতা ও বিধাননগরের দুই মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও কৃষ্ণা চক্রবর্তীও মালা দেন।

জিতেই শেষ চারে যেতে চান মর্গ্যান
ড্র করলেই শেষ চারে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল। তা সত্ত্বেও লাজং এফ সি-কে হারিয়ে আই এফ এ শিল্ডের শেষ চারে যেতে চান ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। “আমার নয় জন ফুটবলার নেই। তা সত্ত্বেও ম্যাচ জিতে শিল্ডের সেমিফাইনালে যেতে চাই। ড্র মাথায় রেখে নামলে সমস্যা হয়,” শুক্রবার অনুশীলনের পর বলে দিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ। ইস্টবেঙ্গল গ্রুপের যা পরিস্থিতি তাতে টোলগে-ওপারাদের রিংয়ের বাইরে পাঠানো কঠিন। আজ শনিবার লাজং জিতলেই শুধু ভবানীপুর সেমিফাইনালে যেতে পারবে। কিন্তু তা হলে সেটা হবে অঘটন। কারণ ঠাণ্ডা থেকে এসে কলকাতায় নেমে প্রদ্যুম রেড্ডির দল খেলতেই পারছে না। দেবজিৎ ঘোষের ভবানীপুরেই তাদের তিন গোল দিয়েছে। মর্গ্যান অবশ্য কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন। বলে দিয়েছেন, “ওদের কাছে আই লিগে হেরেছি। কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নই। জেতার জন্যই খেলতে চাই।” আর সে জন্যই চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চান ব্রিটিশ কোচ। তিনি কার্যত ঘোষণা করে দিয়েছেন, ৪-৫-১ ফর্মেশনে দল নামাবেন। সামনে বলজিৎ সাইনিকে রেখে সামান্য পিছনে খেলবেন টোলগে এবং রবিন সিংহ। অর্থাৎ ফর্মেশন দাঁড়াতে পারে ৪-৩-২-১। টিমে মাত্র একটি পরিবর্তন হচ্ছে। চোট পেয়ে হরমনজিৎ খাবরা বাইরে চলে যাওয়ায় খেলবেন সৈকত সিংহ রায়। মর্গ্যান বলে দিয়েছেন, অ্যালভিটো ডি’কুনহাকে কিছুক্ষণের জন্য নামানোর ইচ্ছে আছে তাঁর। যদি সেটা তিনি নামান তা হলে প্রায় দেড় বছর পর মাঠে নামবেন মর্গ্যানের সহকারী কোচ কাম ফুটবলারটি।

শনিবারে
আই এফ এ শিল্ডইস্টবেঙ্গল: লাজং (যুবভারতী ৩-০০)।
বোতাফোগো: চিরাগ কেরল (হাওড়া স্টেডিয়াম ৩-০০)।

অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের দাবি আরও জোরালো
অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ পাওয়ার ব্যাপারে ভারতের দাবি আরও মজবুত হল ফিফা প্রেসিডেন্ট জোসেফ ব্লাটারের কথায়। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল শুক্রবার অনূর্ধ্ব সতেরো বিশ্বকাপের বিডের কাগজপত্র ছাড়াও ব্লাটারের হাতে তুলে দেন ২০১৫ বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের দাবি। ব্লাটার বলেন, “অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ পাওয়ার ব্যাপারে আমার সমর্থন আছে। সংশ্লিষ্ট কমিটিতে এর সিদ্ধান্ত হবে। তবে বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ভারতের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী আছে।” ব্লাটারের কথায়, “ভারতকে ফুটবল বিশ্বে না দাঁড় করিয়ে আমি মরতে পারব না।” তিনি ভারতকে এশিয়ার বড় শক্তি হিসাবে বিশ্বকাপে দেখতে চান। তিনি আরও জানান, নেপাল ফুটবল ফেডারেশন ভারতের সঙ্গে পেশাদার ফুটবলারদের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চায়। যাতে তাঁর সমর্থন আছে। তবে ব্যাপারটি দু’দেশের ফেডারেশনের আলোচনাসাপেক্ষ।

পাসিং ফুটবল নিয়ে হাজির বোতাফোগো
দোলের দিন শহরে আসার পরদিনই ব্রাজিলের বোতাফোগোর অনূর্ধ্ব ২৩ দল নেমে পড়ল অনুশীলনে। শনিবার ভারতের মাটিতে তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য-র চিরাগ ইউনাইটেড কেরল। তবে বিপক্ষ যেই হোক, ব্রাজিলের ক্লাবটির কোচ ফেলিপে আরান্তেস বললেন, “বোতাফোগোর ফুটবল দর্শনটাই আমাদের অস্ত্রযা হল প্রচুর পাস খেলা।” রিও দে জেনেইরো-র দলটির এক নম্বর গোলকিপার মিল্টন পিরেস ২০১০-এ ব্রাজিলের সেরা যুব গোলকিপার। তিনি ও স্ট্রাইকার উইলিয়াম ওলিভিয়েরা খেলেছেন ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব ২০ জাতীয় দলে। মিল্টন জানালেন, সেই সময়ে নেইমার, লুকাস মৌরা ছিলেন ওই দলে। প্র্যাক্টিসে পাসিং, দ্রুত জায়গা নেওয়া, আর ব্যক্তিগত দক্ষতায় বোতাফোগোর ফুটবলাররা বোঝালেন, ব্রাজিলীয় ঘরানার পরিচয় দিতে তাঁরা তৈরি।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.