আউশগ্রামে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল
দোলের দুপুরে সিপিএমের দৈনিক মুখপত্রের এক সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা হল বর্ধমানের আউশগ্রামে। শুক্রবার সকালে তাঁরা তৃণমূলের কিছু লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তৃণমূল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
রাধামাধব মণ্ডল নামে যে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁর বাড়ি স্থানীয় গোপালপুর গ্রামে। রাধামাধববাবুর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁরা যখন খাচ্ছিলেন, এক দল লোক এসে চড়াও হয়। বাড়িতে ঢুকে তারা তাঁকে এবং পরিবারের লোকজনকে মারধর করে। লুঠপাটও চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়ির সমস্ত বইপত্র। খবর পেয়ে স্থানীয় ছোঁড়া ফাঁড়ি থেকে পুলিশ এলে তারা পালায়। পুলিশই তাঁকে উদ্ধার করে গুসকরায় পৌঁছে দেয়। তবে বাড়ির আর কাউকে তারা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়নি।
ছোঁড়া ফাঁড়ির দাবি, বাড়িতে ঢুকে লুঠপাট বা পরিবারের সদস্যদের মারধরের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাড়ি লক্ষ করে একটি বোমা ছোড়া হলেও সেটি ফাটেনি। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা অবশ্য আশ্বাস দেন, “এ দিন আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ করেছেন ওই সাংবাদিক। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বলেছি।” রাধামাধববাবুর অভিযোগ, হামলায় তাঁর বাড়ির লোকেরা আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তাঁর বাবা মনোজ মণ্ডল। কিন্তু তাঁকে চিকিৎসার জন্য বাড়ির বাইরে নিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টাই করছে না। পুলিশ সুপার বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।”
কেন এই হামলা? রাধামাধববাবুর দাবি, “এলাকায় তৃণমূলের নানা দুর্নীতির খবর একটানা করে চলেছি। তাই বিধানসভা ভোটের পরেই আমাদের সমস্ত জমি দখল করে নেওয়া হয়। ভোটের ফল প্রকাশের পরেই আমাদের পরিবারকে এক মাসের জন্য গ্রামছাড়া করা হয়। পরে আইনের পথে আমরা ওই জমি উদ্ধার করি। প্রশাসনের সাহায্যে গ্রামেও ফিরি। গত ক’দিন তৃণমূলের লোকেরা আমাদের হুমকি দিচ্ছিল। কিন্তু তা যে ওরা হাতেনাতে করে দেখাবে, ভাবতে পারিনি।”
সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ মহম্মদ মসিহের অভিযোগ, “তৃণমূলের অত্যাচার নিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগের কয়েকটি মামলা রুজু হয়েছে। সেগুলি তোলার জন্যই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের স্থানীয় নেতা দাবি সিংহের খুনিরাও এদের সঙ্গে রয়েছে।” তৃণমূলের স্থানীয় নেতা তথা গুসকরা শহর কমিটির সভাপতি নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেন, “ওই সাংবাদিক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে কয়েকটি ভ্রান্ত খবর পরিবেশন করেছেন।
তাতেই রেগে গিয়ে ওই লোকেরা হামলা চালিয়েছে। এর সঙ্গে আমাদের দলের কেউ জড়িত নন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.