প্রয়োজনের তুলনায় মাধ্যমিকের ঐচ্ছিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কম থাকায় উত্তেজনা ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে। বুধবার ইটাহার হাই স্কুলে ওই ঘটনা ঘটে। এদিন ওই স্কুলে মাধ্যমিকের ঐচ্ছিক পরীক্ষা দিতে এসেছিল এলাকার রাজগ্রাম, দূর্গাপুর বালিকা বিদ্যালয় ও চন্ডীগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময়ে প্রশ্নপত্রের সংখ্যা মেলাতে গিয়ে শিক্ষকদের মাথায় হাত পড়ে। দেখা যায় প্রয়োজনের তুলনায় প্রশ্নপত্র কম রয়েছে। পরীক্ষার সময় হয়ে গেলেও প্রশ্নপত্র বিলি না-হওয়ায় স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা হইচই শুরু করে দেয়। পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত প্রশ্নপত্র জেরক্ত করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। স্কুল সূত্রে খবর, এদিন ওই স্কুলে মোট ২২৮ জন পরীক্ষার্থীর হাজির ছিল। অথচ প্রশ্নপত্র ছিল ১৯০টি। ৩৮টি প্রশ্নপত্র কেন কম এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ব্লক প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মধ্যশিক্ষা পর্ষদে জানানো হয়। পর্ষদের কর্তাদের নির্দেশে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দপ্তরে প্রশ্নপত্র জেরক্স করে ছাত্রছাত্রীদের বিলি করা হয়। এতে পরীক্ষা শুরু হতে ১ঘন্টা ১৫ মিনিট দেরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরীক্ষার্থীদের বাড়তি সময় দিতে হয়। ইটাহারের বিডিও শেখ জহর আলি বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখেছি ইটাহারের প্রশ্নপত্র উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ এলাকায় চলে গিয়েছিল। তাতেই ওই সমস্যা হয়েছে। পরে পর্ষদ কর্তাদের জানিয়ে তাঁদের নির্দেশে প্রশ্নপত্র জেরক্স করে বিলি করা হয়।” উত্তর দিনাজপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এজাবুল করিম তরফদার বলেন, “পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে সামান্য সমস্যা হলেও পর্ষদের নির্দেশে সমস্যা মিটে যায়।” এদিকে, ইসলামপুর মহকুমার পুলিশ আধিকারিক-সহ দুই পুলিশ কর্মীর উপর হামলার অভিযোগে চার জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার রাতে গোয়ালপোখর থানার লোধন সংলগ্ন এলাকায় থেকে ৪ জনকে ধরা হয়। গত মঙ্গলবার দুপুরে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন লোধন এলাকার একটি জেরক্সের দোকান থেকে নকল সরবরাহ হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ওই দোকানটি বন্ধ করতে গেলে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। আরও দুই পুলিশ কর্মীও জখম হন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা সকলেই লোধন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। ইসলামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকরিক নীলকান্ত সুধীর কুমার বলেন, “ দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার জড়িত আরও কয়েকজনকে খোঁজা হচ্ছে।” |