কেউ লালে লাল, কেউ বা আবার সবুজে সবুজ। অনেকের পছন্দ হলুদ। গোলাপিতেও মজেছেন কেউ কেউ। এ ভাবেই যুযুধান কোচবিহারের ডান-বাম বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তো বটেই, গ্রেটার কোচবিহার রাজ্যের দাবিদার বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম হোলিতে নেতা-কর্মীদের মধ্যেও বাড়তি উৎসাহ। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কর্মীরা বাসিন্দাদের বাড়িতে গিয়ে সবুজ আবির দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আমি নিজেও ১৫০ কেজি সবুজ আবির কিনে রেখেছি। নাটাবাড়ি বিধানসভার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ওই আবিরে সকলের সঙ্গে হোলির আনন্দে মাতব।” বামেরা অবশ্য লাল রঙের আবিরের প্রতি নিজেদের পছন্দের কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। দিনহাটার বিধায়ক তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “হোলির দিন সকাল থেকে দিনহাটায় দলের অফিসে থাকব। বরাবরের মতো সকলের সঙ্গেই লাল আবিরের টিকা বিনিময় হবে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অনন্ত রায় জানান, তাঁরা লাল রঙের আবিরেই হোলির আনন্দ নেবেন। তিনি বলেন, “আমি নিজেও বাড়িতে কেউ এলে লাল আবিরের টিকাই দেব।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক নিখিল রঞ্জন দে জানান, তাদের পছন্দ গাঢ় গোলাপি রঙের আবির। কারণ তা অনেকটা দলের প্রতীকের সঙ্গে মানানসই। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক বংশীবদন বর্মন বলেন, “হলুদ বসন্তের রঙ। ঘরোয়া ভাবে হোলিতে মাতলেও সবাই ওই আবির নেবেন।” গ্রেটার কোচবিহার বন্দিমুক্তি কমিটির মুখপাত্র আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেটার কোচবিহার রাজ্যের দাবি ঘিরে বিভিন্ন আন্দোলনে একাধিক সংগঠনের পতাকার রঙ ছিল হলুদ। জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে ওই রঙ মিশে গিয়েছে। কোচবিহারের জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী অবশ্য বলেন, “ভোটে জেতার পরে নির্দিষ্ট রঙের আবিরে খেলা হতেই পারে। তবে হোলির সঙ্গে যেহেতু কৃষ্টি জড়িয়ে তাই পুজোর কাজে যে আবির ব্যবহার হয় আমি সেটিই রাখব। বাড়ি কিংবা দলের অফিসে যারা আসবেন আসল আবিরেই তাঁদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় হবে।” |