ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত মামলায় চার্জশিট দাখিল হয়েছে কয়েক দিন আগেই। তার পরেও ওই হাসপাতালের কর্তাদের জেল-হাজতে রাখার প্রয়োজন কী, আদালতে সেই প্রশ্ন তুললেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা।
৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে ওই হাসপাতালে আগুন লেগে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। হাসপাতালের কর্তাদের মধ্যে কয়েক জন জামিন পেলেও অনেকেই আছেন জেল-হাজতে। বুধবার জেল-হাজত থেকে আমরি-কর্তাদের আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরি-কর্তাদের আইনজীবীরা এ দিন মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে বলেন, চার্জশিট দাখিল একটি আইনি প্রক্রিয়া। এতে অভিযোগগুলি এখনই ‘প্রযোজ্য’ (চার্জ গঠন) হয় না। পরবর্তী সময়ে আদালতে তা প্রমাণের অবকাশ রয়েছে। এই অবস্থায় তাঁদের মক্কেলদের জামিনের আবেদন জানান ওই আইনজীবীরা। সরকারি আইনজীবী বলেন, আমরি-কর্তাদের বিরুদ্ধে যে-ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, তা দায়রা আদালতের বিচার্য। ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তাঁদের জামিনের কোনও সুযোগ নেই।
দু’পক্ষের সওয়ালের পরে পাঁচ আমরি-কর্তার জামিনের আর্জি খারিজ করে ১৯ মার্চ পর্যন্ত তাঁদের জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এস এম শাহনওয়াজ হুসেন। এ দিনই আমরির দুই কর্তা রাধেশ্যাম অগ্রবাল এবং প্রশান্ত গোয়েনকা কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান। আলিপুর আদালতের লক-আপে আমরির আট কর্তাকে চার্জশিটের প্রতিলিপি দেয় পুলিশ। জামিনে মুক্ত তিন ডিরেক্টর চিকিৎসক মণি ছেত্রী, প্রণব দাশগুপ্ত এবং রাধেশ্যাম অগ্রবালও বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী আদালতে গিয়ে চার্জশিটের প্রতিলিপি নেন। আলিপুরের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রাধেশ্যাম অগ্রবালকে এ দিন অ্যাম্বুল্যান্সে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে আমরির তিন কর্তা এখনও ‘ফেরার’। |