যথেষ্ট শয্যা নেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে’ (এসএনসিইউ) সাধারণ রোগে আক্রান্ত শিশুদের রেখে চিকিৎসা করতে বাধ্য হচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনার জেরে শিশু রোগীদের অত্যাধুনিক চিকিৎসার সুযোগ আদৌ মিলবে কিনা তা নিয়ে জেলার বিভিন্ন মহলে সংশয় দেখা দিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা অবশ্য ওই বিষয়ে কিছু জানাতে অস্বীকার করেন। হাসপাতাল সুপার বুদ্ধদেব মন্ডল বলেন, “৪২ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে গড়ে একশোর বেশি শিশু ভর্তি থাকে। শয্যা বাড়ানোর জন্য আলোচনা চলছে। প্রয়োজনীয় নার্সিং কর্মীর অভাবে এসএনসিইউ চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে চাপ সামাল দিতে ওই ইউনিটে সাধারণ রোগে আক্রান্ত শিশুদের রাখতে হচ্ছে।” |
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কম ওজনের সদ্যোজাতদের অত্যাধুনিক ওয়ার্মার যন্ত্রে রেখে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে চিকিৎসা করাতে কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এসএনসিইউ উদ্বোধন করেন। কিন্তু কর্মীর অভাবে সেটা দু’মাস পরেও চালু করা সম্ভব হয়নি। কারামন্ত্রী বলেন, “কর্মী সমস্যা এখনও কেন মেটেনি তা খোঁজ নিয়ে দেখব।” চিকিৎসকদের কয়েকজন জানান, জেলা হাসপাতালে শীত মরসুমে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে শিশু ভর্তির সমস্যা বেড়েছে। মালদহের মত পরিস্থিতি না-হলেও এখানে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা নেহাত কম নয়। গত দু’মাসে অন্তত ৪০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কম ওজন এবং দেরিতে ভর্তির জন্য ওই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট চালু না হলে ওই বিপদ ক্রমশ বাড়বে। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে সমস্যা বুঝেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না! স্বাস্থ্য আধিকারিক ওই প্রশ্ন এড়িয়ে জানান, শিশু ওয়ার্ডে যে শয্যা রয়েছে তার প্রতিটিতে দুই থেকে তিনজন শিশুকে রাখা হয়। কিন্তু ওই ব্যবস্থা করেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে ওয়ার্ডের মেঝেতে অসুস্থ শিশুকে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। সেটাতেও কাজ না হওয়ায় সাধারণ রোগে আক্রান্ত শিশুদের জন্য এসএনসিইউ খুলে দেওয়া হয়। |