বিধানসভায় এ বার অধিবেশন চলবে শনিবারও। আসন্ন বাজেট অধিবেশনের যে প্রাথমিক কার্যসূচি তৈরি হয়েছে, তাতে বাজেটের উপরে বিতর্ক শুরু হবে একটি শনিবার, ২৪ মার্চ। সরকার যদি কোনও বিল আনতে চায়, সে ক্ষেত্রে আরও একটি শনিবার, ৩১ মার্চও অধিবেশন চালানো হবে বলে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। বাজেট অধিবেশন শেষ হয়ে যাবে ২ এপ্রিলের মধ্যে।
আসন্ন বাজেট অধিবেশন বুধবার বিধানসভায় সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন স্পিকার। সুষ্ঠু ভাবে অধিবেশন চালানোর জন্য তিনি সব দলের পরিষদীয় নেতৃত্বের ‘সহযোগিতা’ চেয়েছেন। পরে স্পিকার বলেন, “বাজেট অধিবেশন শেষ হবে ২ এপ্রিল। সিপিএমের তরফে আবেদন করা হয়েছিল, আগামী ৪ এপ্রিল থেকে কেরলের কোঝিকোড়ে ওঁদের দলের সম্মেলনের (পার্টি কংগ্রেস) জন্য অনেকে থাকতে পারবেন না। এর মধ্যেই রাজ্যসভার নির্বাচন রয়েছে। ভোটাভুটি হলে তার জন্য ৩০ মার্চ তারিখটি ঠিক হয়েছে। এ ছাড়াও সরকার যদি কিছু বিল আনতে চায়, তার আনুষ্ঠানিক নোটিস পেলে ৩১ মার্চ, শনিবারও অধিবেশন চালানো হতে পারে।” রাজ্যসভার জন্য ভোটাভুটি হলে ৩০ তারিখটি সেই কাজের জন্য রাখতে হবে বলে বাজেটের উপরে বিতর্ক এক দিন কমিয়ে তিন দিনে শেষ করে দেওয়ার সংস্থানও রাখা হয়েছে। তেমন পরিস্থিতি এলে ৩০ তারিখের জন্য নির্ধারিত অর্থ বিল এবং অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল এগিয়ে আনা হবে ২৯ তারিখে। রাজ্য বাজেট পেশ হওয়ার কথা ২৩ মার্চ।
রাজ্যপালের ভাষণের মাধ্যমে বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে ১৫ মার্চ। আগে ঠিক ছিল, অধিবেশন শুরু হবে ১৪ তারিখ। কিন্তু সেই দিন ‘নন্দীগ্রাম দিবসে’র কর্মসূচির জন্য তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা ‘ব্যস্ত’ থাকবেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই কথা অবশ্য বলা হচ্ছে না। স্পিকার এ দিন বলেছেন, “রাজ্যপাল চেয়েছেন বলেই ১৫ মার্চ অধিবেশন শুরু হবে।” যার প্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, “রাজ্যপালকে পরামর্শ তো দেয় সরকার। কারা কী পরামর্শ দিচ্ছে, তা তো দিবালোকের মতো স্পষ্ট!” সূর্যকান্তবাবুর আরও বললেন, “১৪ তারিখ অধিবেশন শুরু হবে বলে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি (‘সামন’) দিয়েও আবার পিছিয়ে ১৫ তারিখ করা হয়েছে। এই সরকার অনেক ঐতিহাসিক কাজ করছে। এটি আরও একটি ঐতিহাসিক ঘটনা!” |