নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে রাজ্যে শাসক জোটের দুই শরিক দুই মেরুতে! আগামিকাল, শুক্রবার আর্ন্তজাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে ‘মহিলাদের উপর অত্যাচারের’ ব্যাপারে বুধবার আলাদা দুই কর্মসূচিতে কংগ্রেস ও তৃণমূলের এই পরস্পর বিরোধী অবস্থানের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
রাজ্যে সাম্প্রতিক ‘মহিলা নির্যাতনে’র ঘটনা তাঁদের ‘সরকারকে হেয় করার জন্য বিরোধীদের চক্রান্ত’ বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এ দিন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে সংগঠনের সম্মেলনে চন্দ্রিমা দেবী বলেন, “মহিলাদের সামনে রেখে রাজ্য সরকারকে হেয় করার চক্রান্ত করা হচ্ছে।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমাদের দলের মহিলারাই সেই চক্রান্ত নস্যাৎ করবেন। সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা হলেই প্রতিবাদ জানিয়ে মহিলারা মিছিল-সভা করবেন।”
অন্যদিকে রাজ্যে মহিলাদের উপর ‘অত্যাচারে’র প্রতিবাদ জানিয়ে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এ দিনই দলের সদর দফতরের সামনের রাস্তায় ‘মানববন্ধন’ হয়। পার্ক স্ট্রিট, কাটোয়া-সহ রাজ্যে সম্প্রতি নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে মানববন্ধনে প্রদীপবাবুর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের বিভিন্ন পদাধিকারী সামিল হন। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিক মায়া ঘোষ জানান, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে ও নারী সুরক্ষার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তাঁরা এ দিন গণস্বাক্ষর সংগ্রহও করেন। আগামী ১৪ মার্চ এই গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের কাছে তাঁরা দেবেন।
শরিক কংগ্রেসের কর্মসূচিকে অবশ্য কোনও ‘গুরুত্ব’ দেননি চন্দ্রিমা দেবী। তাঁর কথায়, “কোনও রাজনৈতিক দল তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মানববন্ধন করতেই পারে। কিন্তু নারীকল্যাণে বা নারী-সুরক্ষায় কী করা উচিত, তা আমাদের নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শেখাতে হবে না! কোনও মহিলা অত্যাচারিত বা নির্যাতিত হলেই তিনি তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান।”
এ দিন সম্মেলনে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য দলের মহিলাদের সক্রিয় হওয়ার জন্য আহ্বান জানান রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। |