ডাকাতির কিনারা করতে এসে খুনের দায়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন তামিলনাডু পুলিশের চার কর্মী। বুধবার মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করলেও তামিলনাডুর থিরুপ্পু থানার ইন্সপেক্টর-সহ ওই চার পুলিশ কর্মী জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কারণ, এ দিন বিকেলেই মির্জা বকুল আলি নামে মৃত যুবকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়ে এসিজেএম সঞ্জীব দারুকা জানিয়ে দেন, ওই রিপোর্টে পিটিয়ে মারার কোনও উল্লেখ নেই। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির জামিন অযোগ্য ৩০৪ ধারায় (অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানো) মামলা রুজু করলেও বিচারক ওই ধারার পক্ষে যুক্তি পাননি। সে কারণেই তিনি ওই পুলিশ কর্মীদের জামিন মঞ্জুর করেন বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁদের ৫০০ টাকার বন্ডে জামিনে মুক্তি দিলেও ওই চার পুলিশ কর্মীকে ২১ মার্চ ফের জঙ্গিপুর আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তামিলনাডুর থিরুপ্পুতে সম্প্রতি একটি সোনার দোকানে ডাকাতির তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে দুষ্কৃতীরা লুকিয়ে রয়েছে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার গ্রামে। থিরিপ্পু থানার ইন্সপেক্টর সেলভা থানগম এবং তিন কনস্টেবল এ ইয়াসার আরাবাতি, এস শিবকুমার ও কারুপান্নান ফরাক্কায় এসে স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারও করেন। ধৃতদের নিয়ে ওই চার পুলিশকর্মী তামিলনাডু ফেরার পথে সোমবার রাতে ফরাক্কা স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়ে ধৃতদের জনা কয়েক আত্মীয় এসেছিলেন দেখা করতে। ভাষা সমস্যায় তামিলনাডু পুলিশের কর্মীরা বুঝতেই পারেননি যে ধৃতদের ছিনিয়ে নিতে নয়, নিছকই দেখা করতে এসেছেন পরিবারের সদস্যেরা। তা থেকেই ভুল বোঝাবুঝি শুরু। এ দিন জঙ্গিপুর আদালতে তামিলনাড়ুর ধরমপুর জেলার পুলিশ সুপার অমিত সিংহ বলেন, “ধৃত তিন জনকে যখন আমাদের পুলিশ কর্মীরা স্টেশনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই ধৃতের আত্মীয়েরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। ধৃতদের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেন পুলিশ কর্মীরা। তাড়া করে তাঁদের সরিয়েও দেন। তখনই একটি বড় নালায় পড়ে মারা যান মির্জা।” |