|
|
|
|
ডাকাতি করতে যাওয়ার পথে গ্রেফতার দুষ্কৃতী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমজুড় |
আস্ত একটি কন্টেনার ভাড়া করে কারখানায় ডাকাতি করতে আসছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশের কাছে তার আগাম খবর পৌঁছয়। তাড়া করে এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে পুলিশ। তার কাছ থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং একটি চপার উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিরা পালিয়ে গেলেও তাদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকায়।
পুলিশ জানায়, কন্টেনারটি মুম্বই রোড ধরে হাওড়ার দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসছিল। কারখানায় দুষ্কৃতীরা হানা দিতে পারে এমন খবর থাকায় পাকুড়িয়া সেতুর কাছ থেকেই পুলিশ মুম্বই রোডের উপরে নজরদারি চালাচ্ছিল। তারাই কন্টেনারটিকে দেখতে পায়। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ সেটিকে থামতে বলে। কিন্তু চালক সেই নির্দেশ না মেনে পালাতে থাকে। পুলিশ সেটিকে তাড়া করে। আলমপুরের কাছে এসে দুষ্কৃতীরা বুঝতে পারে আর পালানো যাবে না। ফলে কন্টেনারটিকে রাস্তার ধারের একটি গলিতে দাঁড় করিয়ে দেয় তারা। ভিতর থেকে নেমে দুষ্কৃতীরা দ্রুত চম্পট দেয়। একজন ধরা পড়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম শুকদেব মণ্ডল। সে দমদম এলাকার বাসিন্দা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, দলে তারা ছিল আট জন। ডোমজুড় থানা এলাকায় একটি কারখানায় ডাকাতির ছক কষেছিল তারা। বুধবার দিনভর শুকদেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে এ দিন রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, মধ্যমগ্রামের এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী এই দলটির পাণ্ডা। হাওড়ার পাঁচলা, ডোমজুড় এবং জগৎবল্লভপুরের কারখানাগুলি এই দলটির প্রধান ‘শিকার’। লোহা বা দামি যন্ত্রপাতি লুঠ করে তারা কন্টেনারের ভিতরে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, কন্টেনার চারিদিকে ঘেরা থাকে বলে ভিতরে কী আছে তা বোঝা যায় না। দুষ্কৃতীরাও কন্টেনারের ভিতরে সহজেই লুকিয়ে থাকতে পারে। |
|
|
|
|
|