|
|
|
|
দলীয় সাংসদদের দিশা দেখাতে বৈঠক মমতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও গুয়াহাটি |
বাজেট অধিবেশনে ‘রণকৌশল’ ব্যাখ্যা করতে দলের সাংসদদের কাল, শুক্রবার মহাকরণে বৈঠকে ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায় বুধবার জানান, বরাবরই সংসদে তাঁদের ‘অবস্থান’ নিয়ে অধিবেশনের আগে সংসদীয় দলের সদস্যদের সঙ্গে দলনেত্রী বৈঠক করেন। সোমবার থেকে সংসদ শুরু। তার আগে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলের সাংসদদের কর্তব্য নির্ধারণ করে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মহাকরণে বৈঠক নিয়ে মুকুলবাবু বলেন, “সাংসদদের তো মহাকরণে যেতে কোনও বাধা নেই। আর মুখ্যমন্ত্রীর ব্যস্ততা আছে। তাই মহাকরণে বৈঠক হবে।”
উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফলের পর ইউপিএ-তে তৃণমূলের ‘দাম’ আরও বেড়েছে। আসন্ন সংসদ অধিবেশনে বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়বে সরকার। বরাবর সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন মমতা। এই পরিস্থিতিতে তাঁর ‘ভূমিকা’ কী হয়, সেটাই এখন দেখার। পাঁছ রাজ্যের ভোটে ‘ভাল’ ফল করলে মমতার সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কে খানিকটা ‘শৈত্য’ আসার সম্ভাবনা ছিল।
বস্তুত, কংগ্রেস সূত্রেই তেমন সঙ্কেত দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ভোট-উত্তর পরিস্থিতি মমতার পক্ষে ‘অনুকূল’। কংগ্রেসকেই তাঁর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে। এই আবহে শুক্রবার দলীয় সাংসদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক আরও ‘তাৎপর্যে’র। ঘটনাচক্রে, ওইদিনই বিকেলে মণিপুরের বিজয়ী সাত বিধায়কের মমতার সঙ্গে দেখা করার কথা। বিধায়কদের সঙ্গে মণিপুরের তৃণমূল সভানেত্রী কিম গাংতেরও কলকাতায় আসার কথা। দলীয় সূত্রে খবর, মণিপুরে তৃণমূলকে প্রধান বিরোধী দলের দায়িত্বই পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা ও মুকুলবাবু। কিন্তু সেখানে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভোটের আগে বলা হয়েছিল, পরিস্থিতি সাপেক্ষে জোট সরকারে যোগ দিতে পারে তৃণমূল। কিন্তু কংগ্রেস একাই সংখ্যগরিষ্ঠ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গাইখংবাম বলেওছেন, “তৃণমূলকে সরকার গড়তে ডাকব না। কারও সঙ্গে জোট গড়ার প্রয়োজন নেই আমাদের।” তৃণমূলের ‘সম্ভাব্য’ বিজয়ী বিধায়করা ক্ষমতাসীন দলের শরিক, এমনকী, মন্ত্রী হওয়ার আশা নিয়ে বসেছিলেন। এখন তাঁরা খানিকটা ‘হতাশ’। |
|
|
|
|
|