|
|
|
|
উত্তরাখণ্ডে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই সরকার গড়তে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বিজেপি-কংগ্রেস। জাতীয় দুটি দল। উত্তরপ্রদেশে দুটো দলের অবস্থাই তথৈবচ। বিজেপির ঝুলিতে তা-ও বা গোয়া, পঞ্জাব রয়েছে, কংগ্রেসের শুধু মণিপুর।
পড়ে রইল উত্তরাখণ্ড। সেখানে সরকার গড়ার সুযোগ হারাতে চাইছে না কেউই।
কংগ্রেস বা বিজেপি কেউই সরকার গড়ার সংখ্যাটি পায়নি। তিন নির্দল, মায়াবতীর তিন বিধায়ক ও উত্তরাখণ্ড ক্রান্তি দলের এক জনের সমর্থন নিতেই হবে। কিন্তু বিজেপির থেকে একটি আসন বেশি পেয়েছে কংগ্রেস। ফলে রাজ্যপাল সরকার গড়ার জন্য কংগ্রেসকেই আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। আজ সনিয়া গাঁধীও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “যে-হেতু আমরা বৃহত্তম দল হয়েছি, স্বাভাবিক ভাবেই আমরা সরকার গড়ব।” উত্তরাখণ্ডের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হরিশ রাওয়াতের সঙ্গেও আজ বৈঠক করেন সনিয়া। সরকার গড়ার জন্য সব রকম চেষ্টা করার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে মণিপুর ছাড়া আর কোনও রাজ্য দখলে হয়নি। গোয়াও হাতছাড়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুকুটে আর একটি পালক জুড়তে সব পদক্ষেপ করতে চাইছে কংগ্রেস।
কিন্তু কংগ্রেসের থেকে একটি আসন কম পেয়েও সহজে হাল ছাড়তে চাইছে না বিজেপি। আজ রাজনাথ সিংহ ও অনন্ত কুমার উত্তরাখণ্ডে দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করতে দেরাদুন যান। বৈঠকের পর রাজনাথ জানান, “আমাদের সব পথই খোলা রয়েছে।” বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভুবনচন্দ্র খান্ডুরিও বলেন, “রাজনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দল যদি সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে আমরাও দাবি জানাব।” কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জোড়তালি দিয়ে সরকার গড়ার পক্ষপাতী নয়। তাঁদের মতে, জোড়াতালি দিয়ে সরকার গড়ে হাত পোড়ানোর দরকার নেই। তাতে বদনাম হবে বেশি। আর সরকারের স্থায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে। তা ছাড়া খান্ডুরিকে হারানোর পিছনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমেশচন্দ্র পোখরিয়াল যে ষড়যন্ত্র করেছেন, তারও বিহিত করতে হবে। তবু নির্দল ও মায়াবতীর বিধায়কদের পাশে আনার জন্য ‘প্রচেষ্টা’র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পোখরিয়ালকেই। দলের এক নেতার বক্তব্য, “খান্ডুরির মতো সজ্জন ব্যক্তিকে দিয়ে ও-কাজ হবে না। আর পোখরিয়ালের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটি পরে আলোচনা করে স্থির হবে।”
কংগ্রেস অবশ্য সরকার গড়ার ব্যাপারে আশাবাদী। যে তিন জন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন, তাঁরা কংগ্রেসেরই বিক্ষুব্ধ। ফলে তাঁদের অনায়াসে সঙ্গে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। উত্তরাখণ্ড ক্রান্তি দলের সমর্থন বিজেপির সঙ্গে থাকলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁকেও সঙ্গে পেতে খুব অসুবিধা হবে বলে মনে করছেন না তাঁরা। যোগাযোগ রাখা হচ্ছে মায়াবতীর দলের বিধায়কদের সঙ্গেও। বিজেপির এক নেতার কথায়, “যোগাযোগ আমরাও সকলের সঙ্গে রাখছি। তবুও একটি আসন বেশি পেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় কংগ্রেস।” |
|
|
|
|
|