পার্ক স্ট্রিটের ধর্ষণ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের বুধবার প্রেসিডেন্সি জেলে ‘টি-আই’ প্যারেডে হাজির করানো হয়। এই ঘটনায় ধৃত সুমিত বজাজ, নিশাত আলম ওরফে তুসি ওরফে রুমান খান এবং নাসির খানকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অভিযোগকারিণী শনাক্ত করেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ‘টেস্ট আইডেন্টিফিকেশন’ (টি আই) প্যারেডের জন্য এ দিন দুপুরে অভিযোগকারিণীকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তাঁর সামনে ধৃত-সহ ২০ জনকে হাজির করানো হয়। তাদের মধ্যে থেকেই তিন অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন অভিযোগকারিণী। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের গুণ্ডা-দমন শাখা।
এত দিন কেটে গেলেও ওই ধর্ষণ-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত কাদের খানকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত ৫ ফেব্রুয়ারি, ঘটনার রাত থেকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত কাদের এবং এই ঘটনায় জড়িত আরও দুই দুষ্কৃতী কলকাতাতেই ছিল বলে ইতিমধ্যে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই অভিযুক্তদের খোঁজে গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এবং দেশের বেশ কয়েকটি বড় শহরে অভিযান চালিয়েও সুবিধা করতে পারেনি পুলিশ।
কেন এমনটা হচ্ছে?
পুলিশের একাংশের ব্যাখ্যা, প্রথম দিকে কাদের-সহ তিন যুবক মোবাইলের ‘সিম কার্ড’ ঘনঘন বদলাচ্ছিল। সেই কারণেই বিভিন্ন সময়ে তাদের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান বিভিন্ন জায়গায় ছিল। প্রথম অবস্থান দেখে সম্ভাব্য জায়গায় গিয়েও তাই তাদের খোঁজ পায়নি পুলিশ।
কিন্তু ইদানীং অভিযুক্তেরা অধিকাংশ সময়েই মোবাইল বন্ধ করে রাখায় তাদের অবস্থান জানা যাচ্ছে না। কাদের তার বান্ধবী, অভিনেত্রী নুসরত জহানের সঙ্গে এক সময়ে যোগাযোগ রাখলেও এখন তা-ও রাখছে না বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তাই কাদেরের পরিচিত বা ঘনিষ্ঠদের সূত্র ধরেও তাদের অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানতে পারছেন না তদন্তকারীরা। |