ইংরেজবাজার শহরের রথবাড়ি এলাকার উড়ালপুলের উপরে ছোট গাড়ির বেআইনি স্ট্যান্ডকে ঘিরে বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ এবং প্রশাসনের সামনেই উড়ালপুলের উপরে ছোট গাড়ির স্ট্যান্ড তৈরি হয়েছে। সেতুর উপরেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে চালকেরা যাত্রী ওঠানো নামানো করছেন। তার ফলে সেতুর উপরে যানজট লেগেই রয়েছে। বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রশাসন ও পুরসভাকে বহু বার জানানোর পরেও উড়ালপুল থেকে ছোট গাড়ির স্ট্যান্ড সরানোর ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। প্রতিদিনই স্কুল, কলেজ ও অফিস যাওয়ার পথে যানজটের মুখে পড়ে জেলা প্রশাসন, পুরসভা, পুলিশকে দুষছেন বাসিন্দারা। মালদহ বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক কাজল রায় বলেন, “জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও পুর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল উড়ালপুলে গাড়ির স্ট্যান্ড হবে না। কেবল ছোট ও বড় গাড়ি যাত্রী নামাবে। লিখিত ভাবে সিদ্ধান্ত হলেও পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগাতেই ছোট গাড়ির স্ট্যান্ড হয়েছে। সবসময় সেতুর উপর ২০-২২ টি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকছে।” |
প্রতিদিন সকালে উড়ালপুলের উপর দিয়েই ছেলে যিশুকে স্কুলে পৌঁছতে যান শুভ সাহা। তিনি বলেন, “উড়ালপুলের উপর যেভাবে স্ট্যান্ড বানিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে তাতে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছতে যানজটের মুখে পড়তে হচ্ছে। দুই এক দিন প্রতিবাদ করেছিলাম। স্ট্যান্ডের চালকরা যেভাবে চোখ রাঙাল তাতে আর এগোনোর সাহস পাইনি।” বেআইনি গাড়ি স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে যাঁদের অভিযানে নামার কথা সেই রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট আধিকারিক লরেন্স শিটলিং জানান, উড়ালপুলে বেআইনি ছোট গাড়ির স্ট্যান্ড ওঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। হোলির পরেই উড়ালপুল থেকে ছোট গাড়ির স্ট্যান্ড তুলে দেওয়া হবে। ফের যাতে উড়ালপুলে গাড়ির স্ট্যান্ড গড়তে না পারে সেই ব্যাপারে লাগাতার নজরদারি করা হবে। মালদহের সদর মহকুমা শাসক পুষ্পেন্দু মিত্র বলেন, “আরটিওর সঙ্গে আলোচনা করে উড়ালপুল থেকে ছোট গাড়ির স্ট্যান্ড তোলার ব্যবস্থা হবে।” ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরি অভিযোগ করে, এক কোটি টাকা খরচ করে উড়ালপুল ও উড়ালপুলের সামনে ও দুপাশের রাস্তা ঠিক করা হয়েছে। অথচ উড়ালপুলের যত্রতত্র গাড়ি বেআইনি দাঁড়িয়ে থাকছে। তিনি বলেন, “উড়ালপুল থেকে বেআইনি ছোট গাড়ির স্ট্যান্ড তুলে দেওয়ার ব্যাপারে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে।” জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “বেআইনি স্ট্যান্ড নজরে রয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে সেখান থেকে স্ট্যান্ড তুলে ফেলা হবে।” |