| মাধ্যমিক পরীক্ষায় নকল পাচারে বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন ইসলামপুরের এসডিপিও-সহ ২ পুলিশ কর্মী। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে গোয়ালপোখর থানার লোধন এবং করণদিঘি থানার রহতপুর এলাকায়। পুলিশ জানায়, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নীলকান্ত সুধীর কুমারের হাতে চোট লেগেছে। সুধীর মুখোপাধ্যায় নামে এক পুলিশ কর্মীর মাথায় চোট লেগেছে। তাঁকে লোধন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশের একটি জিপ ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গণ্ডগোলে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বলেন, “পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে জেরক্সের দোকান খোলা ছিল। সেখান থেকে খাতা জেরক্স করে নকল সরবরাহ করা হচ্ছিল। তা দেখে আমরা বাধা দিতে যাই। তার পরেই হামলা চালানো হয়। পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর হয়। একটি মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা ছিল। লোধন হাইস্কুলের সামনে জেরক্সের দোকান খোলা ছিল। সেখান থেকে খাতা জেরক্স করে স্কুলের জানালা দিয়ে নকল সরবরাহ করছিল কয়েকজন তরুণ। তা দেখে ইসলামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জেরক্স দোকানে অভিযান চালান। সেই সময় ওই তরুণরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশকে ঘেরাও করে ধাক্কাধাক্কি করার পাশাপাশি ঢিল ছোঁড়া হয়। মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের হাতে চোট লাগে। পুলিশের একটি জিপ সেখানে ভাঙচুর করা হয়। জেরক্স দোকানের মালিক মঞ্জুর আলম বলেন, “আমার দোকান খোলা থাকলেও সেখানে জেরক্স মেশিন ছিল না। পুলিশ মিথ্যে অভিযোগ তুলছে।” দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে করণদিঘি রহতপুরে মাদ্রাসার সামনে। সেখানে পাঁটিল টপকে নকল সরবরাহ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা পুলিশকে লক্ষ করে ঢিল ছোড়ে। সেখানে পুলিশ কর্মী সুধীরবাবু মাথায় চোট পান। তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। গত মঙ্গলবার ইংরেজি পরীক্ষা চলাকালীন একই ঘটনা ঘটে ইসলামপুরের রামগঞ্জে। নকল সরবরাহে বাধা দিতে গিয়ে একাংশ বাসিন্দার হাতে আক্রান্ত হন পুলিশ। এ দিন একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ৬ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনাটি ডালখোলা স্কুলের। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁদের করণদিঘি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। আধ ঘন্টা বাদে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ফিরে তাঁরা পরীক্ষায় বসে। উত্তর দিনাজপুরের ডিআই রেজায়ুল করিম তরফদার বলেন, “ওই পরীক্ষার্থীদের বাড়তি সময় দেওয়া হয়।” এদিনই ডুয়ার্সের উত্তর মজিদখানা গ্রামে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছে এক ছাত্রী। পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রীর নাম পিঙ্কি রায়। সে তালেশ্বরগুড়ি হাইস্কুলের ছাত্রী। ওই ছাত্রীর মা শামুকতলা থানায় নিখোঁজ ডাইরি করেছেন। পুলিশের সন্দেহ, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে ওই কিশোরী। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকেও একই সন্দেহ করা হচ্ছে। শামুকতলা থানার ওসি প্রবীণ প্রধান এই প্রসঙ্গে বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। দুই যুবকের নামও আমরা পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। |
