অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে শিলিগুড়ির অতিরিক্ত বিচারক বিভাগীয় আদালতের বিচারক মধুমিতা বসুর আদালত বয়কটে নামলেন শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। সোমবার শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুরেশ মিত্রুকা এবং সম্পাদক দিলীপ রায় ওই বিচারকের সঙ্গে দেখা করতে যান। বার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, সেই সময়ে বিচারক তাঁদের সঙ্গে কথাই বলতে চাননি বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকে আইনজীবীরা আদালত বয়কট আন্দোলনে নামায় বিপাকে পড়ে যান বিচারপ্রার্থীরা। কোনও আইনজীবী জামিনের জন্য ওই আদালতে আবেদন না-জানানোয় বিচার প্রার্থীরা নিজেরাই আর্জি জানান। বিচারক তার মধ্যে চার জনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেও জামিনদার না-মেলায় কেউই মুক্তি পাননি বলে জানা গিয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে বিচারক নিজেই আজ, বুধবার ওই চারজনকে ব্যক্তিগত জামিনে মুক্ত দিতে পারেন। এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে গেলে এসিজেএম এজলাসের বাইরে কর্তব্যরত এক কর্মী জানান, বিচারক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলবেন না। তবে আদালতের সরকারি আইনজীবী পীযূষকান্তি সাহা বলেন, “বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের সঙ্গে যা হয়েছে সেটা অনভিপ্রেত। এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যেত।” আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগডোগরা থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় অভিযুক্ত দার্জিলিং জেলা আইএনটিইউসি’র জেলা সভাপতি অলক চক্রবর্তী সোমবার ওই আদালতে জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। আইনজীবী তাপস ভৌমিকের মাধ্যমে তিনি আবেদন জানান। বিচারক অলকবাবুর পরিচয়পত্র আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন। অলকবাবু সঙ্গে পরিচয়পত্র না-আনায় জামিনের আবেদনপত্র প্রত্যাহার করে নেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা ঘটনাটি জানার পরে এই বিষয়ে ওই দিন বিকালে বিচারকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বলেন, “জামিন দেওয়া নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় আমরা বিচারকের সঙ্গে কথা বলতে যাই। তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। তার পরে আমরা সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সুষ্ঠু মীমাংসা না-হওয়া পর্যন্ত বয়কেটর সিদ্ধান্ত নিই।” |