ভুয়ো রেশন কার্ড ৯০ লক্ষ, হিসেব মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ক্ষমতায় এসেই ভুয়ো রেশন কার্ড রুখতে জোরদার অভিযানে নেমেছিল নতুন সরকার। তা সত্ত্বেও রাজ্যে এখনও ৮০-৯০ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড রয়েছে বলে জানাচ্ছেন খোদ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মঙ্গলবার তিনি জানিয়ে দেন, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই খাদ্য দফতর ফের রাজ্য জুড়ে ভুয়ো রেশন কার্ড উদ্ধারের কাজে নামছে। তিনি মন্ত্রী হওয়ার পরে অভিযান চালিয়ে ২০ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলে জ্যোতিপ্রিয়বাবুর দাবি। এই অভিযান জোরদার করতে এ দিন তিনি জেলা খাদ্য নিয়ামকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মার্চে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেই হবে। এফসিআই বা খাদ্য নিগম রাজ্যে লেভির চাল কিনলেও চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি কেনা ধান ভাঙিয়ে তৈরি চাল নিতে চাইছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এফসিআইয়ের বক্তব্য, চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি কেনা চালের দাম লেভির চালের থেকে অনেক বেশি। জ্যোতিপ্রিয়বাবু জানান, এফসিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। তাঁর বক্তব্য, লেভির চালের দাম কুইন্টাল-পিছু ১৭৫৫ টাকা। আর চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি কেনা ধান ভাঙিয়ে তৈরি চালের দাম ১৮৯৬ টাকা প্রতি কুইন্টাল। নির্ধারিত নীতি অনুযায়ী রাজ্য থেকে চার লক্ষ মেট্রিক টন লেভির চাল এবং চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি কেনা ধান ভাঙিয়ে তৈরি দু’লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কেনার কথা এফসিআইয়ের। কিন্তু তারা এই হারে চাল তা কিনছে না।
প্রতিটি জেলা ও মহকুমায় খাদ্য ভবন তৈরি করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। কারণ খাদ্য দফতরকে তাদের বিভিন্ন অফিসবাড়ির ভাড়া বাবদ প্রতি বছর ৩২ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়। তার উপরে বাড়ি-মালিকেরা নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছেন। মন্ত্রী জানান, জেলা ও মহকুমায় খাদ্য ভবন তৈরির জন্য আগামী বাজেটে ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। প্রতিটি ব্লকে গুদাম তৈরির জন্য প্রথম পর্যায়ে নাবার্ড থেকে ৯২ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। আরও ১৪০টি গুদাম গড়ে তোলার জন্য নাবার্ড ইতিমধ্যেই ১১২ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। সেই টাকা হাতে এলেই দরপত্র ডাকা হবে। |