শিল্প ধর্মঘটের দিন রাজ্যের কৃষি আধিকারিকের দফতরে গরহাজির কর্মীর ঠিক হিসেব চাইল মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়। এক দিনের ব্যবধানে ওই আধিকারিকের দফতর থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরে দু’রকম হিসেব দাখিল করায় ধন্দ দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই সুস্পষ্ট হিসেব চেয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়।
ধর্মঘটের দিন কৃষি আধিকারিকের দফতরে যে-হাজিরা খাতা ছিল, তদন্তের স্বার্থে সেটি সংরক্ষণ করা হয়েছে। ধর্মঘটের পরের দিন দেখা যায়, ওই খাতার পাঁচ নম্বর পৃষ্ঠাটি লোপাট হয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে ১ মার্চ হেয়ার স্ট্রিট থানায় ডায়েরি করা হয়। মঙ্গলবার ওই বিভাগে নতুন হাজিরা খাতা দেওয়া হয়েছে। ওই দফতরে হাজিরার হিসেবে গোলমালটা ঠিক কী?
২৮ ফেব্রুয়ারি, শিল্প ধর্মঘটের দিন কৃষি আধিকারিকের দফতর থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরে জানানো হয়েছিল, সে-দিন ওই বিভাগের প্রথম এবং চতুর্থ শ্রেণির অনুপস্থিত কর্মীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে দুই এবং চার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির অনুপস্থিত কর্মীর সংখ্যা ছিল ১০। এক দিনের ব্যবধানে, ১ মার্চ ওই বিভাগ থেকে জানানো হয়, এই তিনটি সংখ্যা হবে যথাক্রমে সাত, পাঁচ এবং দুই। দ্বিতীয় তালিকায় ধর্মঘটের দিন গরহাজির কর্মীদের নামও উল্লেখ করা হয়।
মঙ্গলবার মহাকরণ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দিনে কেন দু’রকম হিসেব দাখিল করা হল, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তা জানতে চাওয়া হয়েছে কৃষি দফতরের কাছে। কৃষি অধিকর্তা সার্থক বর্মা বলেন, “সচিব আমার কাছে সরকারি ভাবে জানতে চাইলে যা জানানোর জানাব।” এই ব্যাপারে ফোনে কৃষিসচিব হৃদেশ মোহনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি দিল্লিতে কাজে এসেছি। কলকাতায় ফিরে যা জানানোর জানাব।” |